রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা আরও সহজলভ্য করার জন্য ২০২৫ সালে আবার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হবে। সোমবার সন্দেশখালিতে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে কয়েক বছর আগে খবরের শিরোনামে থাকা সন্দেশখালি এলাকাটি এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করলেন। তিনি উল্লেখ করেন যে সন্দেশখালির মানুষের জন্য বিশেষ প্রচেষ্টা করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির স্থাপন করা, যেখানে মানুষকে নদী পার হতে হয় অথবা কঠিন রাস্তায় যাতায়াত করতে হয়।
কাদের জন্য এই শিবির সেরা?
এই শিবিরটি বিশেষ করে সেইসব মানুষের জন্য সহায়ক যারা সরকারি অফিস থেকে অনেক দূরে থাকেন এবং কাজের জন্য শহরে যেতে অসুবিধা বোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে এই শিবিরের মাধ্যমে সরকার সরাসরি জনগণের কাছে আসবে, তাই তাদের আর বড় অফিসে যেতে হবে না। লক্ষ্য হল মানুষ যাতে তাদের বাড়ির কাছাকাছি পরিষেবা পেতে পারে, তা নিশ্চিত করা।
কী কী সুবিধা মিলবে?
এই শিবিরে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হবে যেমন জাতপাতের শংসাপত্র, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী এবং পাট্টা প্রদান। যারা এখনও এই পরিষেবাগুলি পেতে পারেননি তাদের এই শিবিরে সাহায্য করা হবে।
কবে এই শিবির চালু হবে?
এছাড়াও, জানুয়ারীর মাঝামাঝি (১৪, ১৫ এবং ১৬ জানুয়ারি) গঙ্গাসাগর মেলার সময় সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হবে। এই শিবিরটি জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে রাজ্যের কর্মচারীদের বড় সুখবর, অবশেষে ডিএ বাড়ল ৭ শতাংশ
আরও বড় খবর হল, স্থানীয়দের জন্য সরকারি পরিষেবা দ্রুততর করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনায় একটি নতুন মহকুমা তৈরিরও ঘোষণা করেন। এটি রাজ্যের উন্নয়ন অব্যাহত রাখার তার পরিকল্পনার অংশ। এর আগে ২০২২ সালে, বসিরহাট সহ সাতটি নতুন জেলা তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে খবর।