আপনি কি জানেন ভারতে টাকা কোথায় ছাপা হয়? বেশিরভাগ মানুষই এই প্রশ্নের উত্তর জানে না। ভারতে বেশ কিছু জায়গা আছে যেখানে মুদ্রা নোট এবং কয়েন তৈরি হয়। ভারতীয় টাকার ইতিহাস হাজার হাজার বছর আগের, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এর চেহারা বদলে গিয়েছে। ভারতে প্রথম নোট ছাপা হয় ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, দেশটি নিজস্ব মুদ্রা ছাপা শুরু করে।
নোট কোথায় ছাপা হয়?
“রুপী” শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন সম্রাট শের শাহ সুরি ভারতের মুদ্রা বর্ণনা করার জন্য। ভারতে প্রথম জলছাপযুক্ত মুদ্রা নোটও ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ শাসনামলে জারি করা হয়েছিল, কিন্তু পরে এর উচ্চ মূল্যের কারণে এই প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতে, চারটি প্রধান স্থান রয়েছে যেখানে নোট ছাপা হয়। এগুলোকে “ট্যাঁকশাল” বলা হয়। দু’ টি প্রধান ট্যাঁকশাল মহারাষ্ট্রের নাসিক এবং মধ্যপ্রদেশের দেওভোগে অবস্থিত। অন্য দু’ টি হল কর্ণাটকের মহীশূরে এবং পশ্চিমবঙ্গের সালবোনিতে।
ভারতে প্রথম মুদ্রা মুদ্রণ কারখানাটি ১৯২৬ সালে নাসিকে স্থাপিত হয়েছিল। এই ছাপাখানাগুলির মধ্যে দু’ টি সরকারের মালিকানাধীন, অন্য দুটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) দ্বারা পরিচালিত। এই জায়গাগুলিই দেশের কাগজের নোট মুদ্রণ করা হয়।
কয়েন কোথাও বানানো হয়?
কয়েনগুলি পৃথক কারখানায় তৈরি করা হয়। ভারতে চারটি সরকারি মালিকানাধীন কয়েন তৈরির কারখানা রয়েছে, যেগুলি হায়দ্রাবাদ, কলকাতা এবং নয়ডায় অবস্থিত। ভারত সরকার কয়েন তৈরির দায়িত্বে, অন্যদিকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কাগজের নোট মুদ্রণের দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার নোটের পর এবার ৫০০০ টাকার নোট বাজারে আসছে, আসল সত্যি কী?
সুতরাং, যখন আরবিআই নোট মুদ্রণ পরিচালনা করে, তখন সরকার মুদ্রা তৈরির জন্য দায়ী। এই কারখানাগুলি বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে রয়েছে যাতে ভারতের সমস্ত প্রয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত মুদ্রা থাকে। এখন, আপনি জানেন আপনার পকেটে টাকা কোথা থেকে আসে!