তীব্র অর্থ সংকটে ধরাশায়ী রাজ্য। নিয়োগ নিয়েও তাই চলছে দ্বিধা দ্বন্দ্ব। খুব বেশি শূন্যপদে তাই নিয়োগও করছে চাইছে না রাজ্য। বর্তমান সরকারি কর্মীদের কাজ না গেলেও, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় ঘোষণা করে দিয়েছে নবান্ন।
নবান্ন আসলে এবার সরকারি কর্মচারীদের বহর কমাতে উঠে পড়ে লেগেছে। মুখ্য সচিব ইতিমধ্যেই কড়া সুরে নির্দেশ দিয়েছেন যে খুব দরকার ছাড়া নতুন নিয়োগ করা যাবে না, লোক কমানোর চেষ্টা করতে হবে। অন্যদিকে, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব পদগুলো কাটছাঁটের পথে হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
অনেক সরকারি অফিসেই অবস্থা বেহাল
বেশ কিছু সরকারি অফিসের বেহাল দশা দেখেই নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি, শীর্ষ আমলাদের নিয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, অনেক সরকারি দফতরে কর্মীরা কোনও কাজ করেন না। আসলে, তেমন কোনও কাজই থাকে না তাঁদের। লেট করে অফিসে আসেন, টুকিটাকি কি কাজ করেন, আড্ডা দেন, লাঞ্চ করেন, মাইনে নেন, বাড়ি যান। আর এই ব্যক্তিদের জন্য আবার আলো জ্বলে, মাথার উপর হাই স্পিডের পাখা ঘোরে। এককথায় বলতে গেলে, এইভাবেই অনেক টাকার অপচয় হচ্ছে।
আর্থিক অবস্থা ফেরাতে তাই কী কী নির্দেশ সচিবের?
সোমবার তাই একটি বৈঠক দেখেছিলেন, অর্থ সচিব মনোজ পন্থ। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও সরকারি দফতরে নয়া নির্মাণের জন্য আর প্রস্তাব পাঠিয়ে লাভ হবে না এখন। কোনও নতুন নির্মাণের অনুমোদন দিতে নারাজ সরকার।
শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও বুঝে শুনে লোক নিতে হবে। উল্লেখ্য, শূন্যপদ পূরণের জন্য পুরনো লোকদেরই কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সচিবের দাবি রাজ্যে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধ করা হচ্ছে। সেখানে যে যে কর্মীরা কাজ করেন, দরকার পড়লে তাঁদের অন্য দফতরে কাজের জন্য পাঠাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যে ২৬ হাজার চাকরি ঝুলে আছে, এবার ৪২,০০০ চাকরি নিয়েও খারাপ খবর
আপাতত কোথায় কত শতাংশ নিয়োগ করতে পারে রাজ্য?
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরে 28 জন নিরাপত্তা রক্ষী ও 142 জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়ক নিয়োগের কথা ছিল। খরচ হত 5.74 কোটি টাকা।
স্কুল শিক্ষা দফতরে 190 শূন্যপদ ছিল। খরচ হত 11.60 কোটি টাকা।
শিলিগুড়ি কমিশনারেটের আটটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের জন্য শূন্যপদ ছিল 436। খরচ হত 5.02 কোটি টাকা।
পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতরেও বেশ কিছু নিয়োগ জরুরি ছিল।
যদিও, এদিন আধিকারিকরা স্পষ্ট বলেছেন, অনুমোদিত শূন্যপদের 50 শতাংশ নিয়োগ করা যাবে।