Wallet-এর কথা বললেই বেশিরভাগ মানুষ টাকার কথা মনে করেন। কিন্তু একবার ভাল করে ভেবে দেখুন তো, ওয়ালেট বা মানিব্যাগে আপনি কি শুধুই টাকা রাখেন? এখানে টাকার পাশাপাশি ভোটার আইডি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ অন্যান্য নানান গুরুত্বপূর্ণ নথি রাখা থাকে।
অর্থাৎ আপনার ওয়ালেট গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রাখার একটা আধার হিসেবে কাজ করে। আর এখন সময়টাই হল ডিজিটাল যুগ। ফলে একটা যদি ডিজিটাল ওয়ালেট থাকে তাহলে মন্দ হয় না। আমজনতার সেই চাহিদা পূরণ করতেই বাজারে চলে এসেছে গুগল ওয়ালেট (Google Wallet).
Google Wallet কে আবার Google Pay-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না যেন। কারণ এর মাধ্যমে টাকা-পয়সা লেনদেন বা টাকা-পয়সা রাখার কোনও সুবিধা নেই।
আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স, পরীক্ষার মার্কশিট, চাকরির গুরুত্বপূর্ণ নথি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড সহ অন্যান্য পরিচয়পত্র এমনকি আপনার আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ নথির ডিজিটাল কপি নিরাপদে এখানে সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী করেছে গুগল।
আরো পড়ুনঃ ১০০, ২০০০ নাকি ৩০০০? লক্ষ্মীর ভান্ডারে ঠিক কত টাকা বাড়বে? BJP এর হরেক রকম প্রতিশ্রুতি
Google Wallet-এর মত অ্যাপ অবশ্য ভারতবাসীর কাছে একেবারে নতুন তা নয়। এর আগেই এই দেশে এসে গিয়েছে DigiLocker. তবে Google Wallet-এ আপনি সিনেমার পাশ, কনসার্টের টিকিট, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে কেনাকাটার রিওয়ার্ড পয়েন্ট ইত্যাদি সংরক্ষিত করার অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে DigiLocker নামে একটি সরকারি অ্যাপ নিয়ে আসে। সেখানে আপনি আপনার যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সফট কপি নিশ্চিন্তে সেভ করে রাখতে পারেন, যা সমস্ত ক্ষেত্রে হার্ডকপির মতই বৈধ বলে গণ্য করা হবে।
এই ডিজিলকার অ্যাপে বিশেষ পদ্ধতিতে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সফট কপি সংরক্ষিত করে রাখলেই কেল্লাফতে। ফলে এখন আর বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ড্রাইভিং লাইসেন্সের হার্ডকপি নিয়ে বের হতে হয় না। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে ডিজি লকার অ্যাপ খুলে সফট কপিটি দেখিয়ে দিলেই হয়।
আরো পড়ুনঃ রাজ্যের রেশন দুর্নীতিতে নয়া মোড়, ১৭ জুন সব ক্লিয়ার হবে?
Google Wallet তেমনই নানান সুযোগ-সুবিধা এনে দেবে ভারতের মানুষের কাছে। এই অ্যাপটি এক্ষুণি নিজের স্মার্টফোনে ইন্সটল করার জন্য Google Play Store-এ গিয়ে Google Wallet লিখে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।