ইন্টারনেট ছাড়া যেন আজকের দিন কল্পনাই করা যায় না। শহর তো বটে, বরং গ্রামেও এখন ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুতগতিতে মোবাইল ডেটা এবং 5G কানেকশন। সম্প্রতি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ২০২৫ এর মার্চ মাসের রিপোর্টে উঠে এসেছে এমন কিছু তথ্য,যা স্পষ্ট করে দিচ্ছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস কী হারে বদলাচ্ছে। আর এই তালিকায় চোখে পড়ার মত জিওর দৌরাত্ম্য।
বাড়ছে কানেক্টিভিটি
TRAI-এর এই তথ্য অনুযায়ী, ভারতে মার্চ মাসে মোট মোবাইল এবং ওয়্যারলেস ইউজারের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১১৬৩.৭৬ মিলিয়নে। আর তার মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে সংখ্যা ছিল ১১৫৪.০৫ মিলিয়ন, তা ১ মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৫৬.৯৯ মিলিয়ন। যদিও এটি সামান্য বৃদ্ধি, মাত্র ০.৫%। তবে তার চেয়ে বড় খবর লুকিয়ে রয়েছে গ্রামীণ অঞ্চলের মধ্যে।
শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এবার সাবস্ক্রাইবার বৃদ্ধি হয়েছে অনেক দ্রুত হারে। যেখানে শহরে মাত্র ০.০৬%, সেখানে গ্রামে ০.৪৯%। আর শহরে নতুন সাবস্ক্রাইবার ৩৭ লক্ষ হলেও গ্রামে পৌঁছেছে ২৫৭ লক্ষে।
চালু হচ্ছে 5G AirFiber
শুধু মোবাইল ডেটা নয়। বরং ভারতের বাড়ি বাড়ি ও ছোট অফিসে এবার দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে 5G Fixed Wireless Access (FWA) সার্ভিস। একে বলা হচ্ছে AirFiber। রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে ৬.৮ মিলিয়ন মানুষ এই পরিষেবা ব্যবহার করছে।
আর এই তালিকায় সবথেকে এগিয়ে রয়েছে জিও। তাদের ঝুলিতে ৫.৬ মিলিয়ন গ্রাহক পড়ে রয়েছে, যা গোটা FWA মার্কেটের প্রাই ৮২ শতাংশ। আর এয়ারটেল তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের বর্তমানে ১.২ মিলিয়ন গ্রাহক রয়েছে।
কারা কত গ্রাহক পেয়েছে?
মার্চ মাসে নতুন সাবস্ক্রাইবারের তালিকায় সবথেকে বড় ভূমিকা রেখেছে রিলায়েন্স জিও। তাদের নতুন সংযোগ হয়েছে ২.১৭ মিলিয়ন। আর এর মধ্যে 5G AirFiber নিয়ে যদি কথা বলি, তাহলে জিওর নতুন সংযোগ ৩.৪ লক্ষ এবং এয়ারটেলের ১.৬ লক্ষ।
আরও পড়ুন: ১৮ বার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, আগামী দিনক্ষণ কবে ঘোষণা হল?
এবার যদি ওয়্যারলাইন ব্রডব্যান্ড নিয়ে কথা বলি, তাহলে জিও গ্রাহক পেয়েছে ১.৫ লক্ষ এবং এয়ারটেল নতুন গ্রাহক পেয়েছে ৭০ হাজার। আর এই পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইন্টারনেটের দিগন্তে কতটা অবদান রাখছে জিও।
এদিকে টেলিকম কানেক্টিভিটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি টেলিডেনসিটি। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে কতজন টেলিফোন বা মোবাইল কানেকশন ব্যবহার করছে তার পরিসংখ্যান। আর TRAI বলছে যে, মার্চ মাসের শেষে দিল্লিতে এই সংখ্যা সবথেকে বেশি ছিল। হিসাব বলছে ২৭৫.৭৯%। অন্যদিকে বিহারে এই হার মাত্র ৫৭.২৩ শতাংশ। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনো ডিজিটাল ব্যবধান অনেকটাই থেকে যাচ্ছে।