ডিএ নিয়ে চলছে দীর্ঘ এক দশকের লড়াই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রতিটা দিন অপেক্ষা করে কাটাচ্ছে শুধুমাত্র সেই প্রতীক্ষিত রায় শোনার জন্য। সুপ্রিম কোর্টে বছরের পর বছর ধরে চলা মামলার শুনানি শেষ হয়েছে অনেক আগেই। এখন শুধুমাত্র রায় ঘোষণার অপেক্ষা। তবে এই রায় ঘোষণা কোন দিন হবে তা নির্ভর করছে দুটি শর্তের উপরে।
১০ বছরের পুরনো মামলা
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ, ১০ বছর আগে থেকেই তারা প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আদালতে মামলা, শুনানি পিছিয়ে যাওয়া, নানা রকম আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে তাদের লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠছে। এমনকি এত লম্বা লড়াইয়ের পরও বিচার না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে হতাশ হচ্ছে সরকারি কর্মীরা।
তবে সমস্ত বাধা অতিক্রম করে গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষ হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রর বেঞ্চে বহুদিন ধরে এই মামলাটি শুনানি হচ্ছে। শুনানির শেষ যুক্তি প্রমাণ পেশ করাও শেষ। আর এখন শুধুমাত্র রায় ঘোষনা বাকি। এই কারণেই ডিসেম্বর মাস থেকে কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে আবারও আশা জন্মাচ্ছে।
স্পেশাল বেঞ্চ বসবে ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর
আদালত সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ১২ এবং ১৩ ডিসেম্বর পরপর দু’দিন বিচারপতির কারোল এবং বিচারপতি মিশ্রের স্পেশাল বেঞ্চ বসতে পারে। আর যেহেতু ডিএ মামলার শুনানি উক্ত বেঞ্চে শেষ হয়েছে, তাই অনেকে মনে করছে যে এই সময়ের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ রায় আসতে পারে। যদিও এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ডের সাথে ফোন নম্বর লিঙ্ক করবেন কীভাবে? রইল সম্পূর্ণ পদ্ধতি
তবে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রায় কবে হবে তা অনুমান করে সেরকম কোনও লাভ নেই। তাদের মতে রায়ের দিন নির্ধারিত করতে গেলে দুটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। আর সেগুলি হল—
- স্পেশাল বেঞ্চ বসতে হবে বিচারপতি কারোল এবং মিশ্রকে নিয়ে।
- সেই দিনের কজ লিস্ট বা সাপ্লিমেন্টারি কজ লিস্টে থাকতে হবে মামলার নাম।
তবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা এখনও পর্যন্ত আশাবাদী। অতীতেও ডিএ মামলা নিয়ে আদালতে লড়াই করে তারা সফলতা অর্জন করেছে। তাই এবারও সুপ্রিম কোর্টে ন্যায় বিচার পাবে বলে বিশ্বাস ওয়াকিবহালের মহল।
