পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা খাতে দুর্নীতি! কেন স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের জন্য কোন শূন্যপদ খালি নেই?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কাঁপছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিভিন্ন আধিকারিক সহ রাজ্যেই হাই-প্রোফাইল গ্রেফতার এই দুর্নীতিকে সামনে নিয়ে এসেছে। আদালতে মামলা হয়েছে এবং অনেক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। বর্তমানে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রায় 26,000 চাকরি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। অনেক শিক্ষকের কেরিয়ারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলেছে।

শূন্যপদ কত, জানার জন্য RTI অনুরোধ

এই প্রসঙ্গে, দক্ষিণ 24 পরগণা জেলার একজন স্কুল শিক্ষক, অনিমেষ হালদার, আরটিআই ফাইল করে রাজ্যে কতগুলি শিক্ষার শূন্যপদ রয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। একটি শিক্ষক সংগঠনের সদস্য হিসাবে, হালদার প্রায়ই শিক্ষক বদলি সম্পর্কে অভিযোগ পান। এমন সময়ে এই চাকরির বিষয়েই পরিস্থিতি স্পষ্ট করতে চেয়েছিলেন তিনি।

শিক্ষা দফতরের চমকপ্রদ প্রতিক্রিয়া

হালদার শিক্ষা দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারির কাছে তার আরটিআই আবেদন জমা দেন, যা পরে স্কুল শিক্ষা কমিশনারের অফিসে পাঠানো হয়। তবে তিনি যে সাড়া পেয়েছেন তা ছিল অপ্রত্যাশিত। বিকাশ ভবনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের কাছে শিক্ষক শূন্যপদের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই।

স্বচ্ছতা সম্পর্কে প্রশ্ন

বলা বাহুল্য, তথ্যের এই অভাব সন্দেহজনক, নানান প্রশ্ন উত্থাপন করে। সরকার কি তাহলে সত্যিই বর্তমান শূন্যপদ সম্পর্কে অবগত নয়, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে এই তথ্যগুলোকে আটকে রেখেছে? যদিও কেউ কেউ যুক্তি দেন যে শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তনশীল, তাই একেবারে সঠিক তথ্য দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। যাইহোক, এটি আরও উদ্বেগের জন্ম দেয়। কারণ এটা সত্যিই যে যদি নিয়োগ করা হয়, শিক্ষা বিভাগের কাছে আপ-টু-ডেট রেকর্ড থাকা উচিত।

এবার শিক্ষা অধিদপ্তর যদি শূন্যপদের বিষয়ে রিপোর্ট করতে না পারে, তাহলে প্রশ্ন ওঠে: তদারকির দায় তবে কে নেবে? চলমান নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনাগুলি স্কুলগুলিতে শূন্যপদের বিষয়ে স্পষ্টতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে। বিশেষ করে হালদারের আরটিআই অনুরোধে সাড়া দিতে বিভাগের অক্ষমতা ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উপসংহার

সংক্ষেপে, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকের শূন্যপদকে ঘিরে পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট এবং বিতর্কিত। আরটিআই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তথ্য প্রদানে সরকারের ব্যর্থতা শুধুমাত্র অনিমেষ হালদারের মতো শিক্ষাবিদদের হতাশ করে না বরং চলমান দুর্নীতির সমস্যাগুলির মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

Leave a Comment