সন্দেশখালি কাণ্ডের পর ইডি (ED)-কে নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত অমিত শাহের মন্ত্রকের। বাংলায় রেশন দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে সন্দেশখালি ও বনগাঁয় বড়সড় হামলার মুখে পড়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। এরপরই দেশের সর্বত্র ইডি অফিসগুলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গোটা দেশে ইডির মোট ৪০ টি শহরে অফিস আছে। এর মধ্যে ২১ টি জোনাল অফিস ও ১৮ টি সাব-জোনাল অফিস। আর দিল্লিতে ইডির সদর দফতর। দিল্লির সদর দফতর আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী তথা সিআইএসএফের নিরাপত্তা দিয়ে ঘিরে রাখা থাকে।
তবে সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বাংলার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরল, চন্ডিগড়ের জোনাল অফিসগুলিতেও সিআইএসএফ-কে মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা অডিট করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আপাতত ‘নো কস্ট’ বেসিসে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ ইডি অফিসগুলোর এই নিরাপত্তার ব্যয়ভার আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বহন করবে।
আরো পড়ুনঃ ২০০০ নোটের কথা শেষ! এবার ৫০০ টাকার নোট নিয়েও RBI-এর ঘোষণা
পাশাপাশি সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইডির বাকি অফিসগুলোয় সিআইএসএফের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে তার একটা অডিট করা হবে। সেই অডিট রিপোর্ট এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সেখানেও সিআইএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য সন্দেশখালি কাণ্ডের পর থেকেই বাংলার যেখানেই ইডি’র গোয়েন্দারা তদন্তে যাচ্ছে তাঁদের সঙ্গে সিআইএসএফের জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। তাদের মতে, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট অর্থবহ। এর ফলে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আনাগোনা আরও বাড়বে। অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলেও রাজ্য প্রশাসনের কিছু গাফিলতির কারণেই সেখানে হস্তক্ষেপের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ২টি সিম কার্ড থাকলেই সমস্যা! Jio, Airtel, VI সবার জন্যই নতুন প্ল্যান
অপর একটি অংশের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের জেরে বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় ইডির তদন্তের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে।