ভারতে ১৩ বছর পর আবার জনগণনা হবে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রশ্ন করা হবে, আর এই কাগজগুলি লাগবে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Cencus of India 2024: ভারতে ১৩ বছর পর পুনরায় শুরু হচ্ছে জনগণনার কাজ। এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সমীক্ষা, যার মাধ্যমে প্রাপ্ত জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কাজে লাগে। 

এই সমীক্ষাটি সময় সাপেক্ষ এবং একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২৪ সালে পুনরায় শুরু হতে চলেছে। তবে এই জনগণনার কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। 

জনগণনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

জনগণনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে দেশের জনসংখ্যা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। এই তথ্য বিভিন্ন সরকারি পরিকল্পনা নীতি নির্ধারণ এবং জনসাধারণকে পরিষেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে, এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহ করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

২০২৪ সালে জনগণনা সূচনা 

২০২১ সালে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে পূর্বনির্ধারিত জনগণনার কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এরপর মোদি সরকার পুনরায় ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও জনগণনার কাজ শুরু হয়নি। তাই ২০২৪ সালে নতুন করে এই সমীক্ষার কাজ শুরু করা হচ্ছে যা প্রায় দেড় বছর ধরে চলতে থাকবে। 

কি কি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে?  

সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবেন। বাড়ির কর্তাদেরকে মূলত যে সমস্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে সেগুলি হল-  

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
  • পরিবারে কতজন সদস্য রয়েছে?
  • পরিবারের সদস্যদের নাম কী কী?
  • সমস্ত সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ?
  • পরিবারের মূল জীবিকা ইত্যাদি তথ্য?

এছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক তথ্যও সংগ্রহ করা হতে পারে। 

কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন? 

এই জনগণনার জন্য সাধারণত কোন বিশেষ কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে বাড়ির সমস্ত সদস্যের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড দেখতে চাইতে পারেন কর্তৃপক্ষ। তাই এই দুটি ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখাই ভালো। 

সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ 

২০২৪ সালের এই জনগণনার সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশিত হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে, এটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: অনেক হলো মেয়েদের প্রকল্প, এবার এই প্রকল্পে ছেলেরা মাসে ৪০০০ টাকা পাবে

শেষ জনগণনা কবে হয়েছিল? 

ভারতের শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। সাধারণত ১০ বছর অন্তর এই জনগণনা প্রক্রিয়া পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালে কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে জনগণনা স্থগিত হয়ে যায়। 

তাই পুনরায় ২০২৪ সালে এই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে, যা দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নীতি, আইন ইত্যাদি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

Leave a Comment