অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোট পর্বের মাঝপথেই কি বাংলা নিয়ে আশাভঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্য থেকে তেমনই ধারণা করছেন অনেকে। লোকসভা নির্বাচনের একেবারে প্রথম দিকে বাংলায় ভোট প্রচারে এসে অমিত শাহ ৪২ এর মধ্যে ৩৫ টি আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের সামনে।
তারপর আবার প্রচারে এসে সেই লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমিয়ে জানিয়েছিলেন, বাংলায় বিজেপি ৩০ টির বেশি আসন পাবে। তবে অতি সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রাপ্তি ২৪ থেকে ৩০ টি আসনের মধ্যে থাকবে।
অমিত শাহের এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পরই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বাংলায় যতটা ভাল ফল হবে ভেবেছিল তা হচ্ছে না বলে বুঝে গিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব? না হলে কেন বাংলা থেকে আসন প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা একধাপে দশটা কমিয়ে ফেললেন অমিত শাহ!
ঘটনা হল কেন্দ্রীয় বিজেপি এবার গোড়া থেকেই বাংলাকে টার্গেট করে এগিয়েছে। উত্তর ভারতে এবার তাদের আসন সংখ্যা বেশ কিছুটা কমবে বলে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে। তবে প্রকৃত ছবিটা আরও কিছুটা ভয়াবহ বলে বিজেপি নিজেদের করা অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা থেকে জানতে পেরেছে, এমনটাই খবর।
আরো পড়ুনঃ এই নম্বরটি সেব করুন! ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকলেই কাজে লাগবে
আসন সংখ্যার সেই ঘাটতি পূর্ব ভারতে দুই রাজ্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেকটা মেটানোর অঙ্ক কোশে এগোচ্ছিল গেরুয়া শিবির। সেই অনুযায়ী বঙ্গ বিজেপির সামনে ৩৫টি আসনের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই প্রথম চার দফার নির্বাচনে বাংলার ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে।
এবার নির্বাচনী পর্ব দক্ষিণবঙ্গে পুরোপুরিভাবে প্রবেশ করছে। সবমিলিয়ে ভোটের গতিপ্রকৃতি যা তাতে বাংলায় ৩০ আসনের গন্ডি পার হওয়া একরকম অসম্ভব বলে বঙ্গ বিজেপির একটি সূত্র থেকে বলা হয়েছে। সম্ভবত সেই কারণেই অমিত শাহ এবার শুভেন্দু-সুকান্ত’দের টার্গেট কমিয়ে দিলেন।
আরো পড়ুনঃ হাইকোর্টে আবারও ধাক্কার মুখে রাজ্য! সরকারি কর্মীদের সব বকেয়া মেটানোর নির্দেশ
উল্লেখ্য গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বলছে, এবার উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি রাজস্থান, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এমনকি মোদি-শাহের গুজরাটে পর্যন্ত বিজেপির আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমতে পারে। বিহারও আছে সেই তালিকায়। ফলে পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯ সালের পাওয়া ১৮ টি আসনকে বাড়িয়ে ৩০ এর উপর নিয়ে যেতে না পারলে সরকার গড়ার প্রশ্নে বিজেপি ভালমত চাপে পড়তে পারে বলে একটি মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।