লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউটারদের জন্য দারুন একটি সুখবর নিয়ে আসলো সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে সাফ জানিয়ে দিল, লটারির টিকিট বিক্রি বা লটারি প্রচারের উপর কেন্দ্র সরকার আর কোনো রকম সার্ভিস ট্যাক্স নেবে না। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে করা অভিযোগ এবং আপত্তি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে। এখন থেকে লটারি ডিস্ট্রিবিউটারদের প্রচুর পরিমাণে আর্থিক লাভ হবে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও এনকে সিং-এর বেঞ্চ ১২০ পাতার একটি রায়ে জানিয়েছে যে, ১৯৯৪ সালের অর্থ আইন সংশোধন করে লটারির টিকিট বিক্রির উপর সার্ভিস ট্যাক্স আরোপ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, লটারির টিকিট ডিস্ট্রিবিউটাররা কোনরকম পরিষেবা প্রদান করছে না, যা সার্ভিস ট্যাক্সের আওতায় পড়ে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে সিকিম উচ্চ আদালতের পূর্বের রায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, লটারির টিকিট ক্রেতা ও ডিস্ট্রিবিউটর এবং সিকিম সরকারের মধ্যকার লেনদেনে সার্ভিস ট্যাক্স আরোপ করা হবে না।
কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
বিচারপতি বিভি নাগারত্ন বলেছেন, লটারি ডিস্ট্রিবিউটাররা কোন এজেন্সির মতো পরিষেবা সরবরাহ করে না। তাদের উপর সার্ভিস ট্যাক্স আরোপ করা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি আরো জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের আয়তায় থাকা গ্যাম্বলিং ট্যাক্স তাদের অবশ্যই প্রদান করতে হবে। অর্থ আইনের এন্ট্রি ৬২ অনুযায়ী এই কর রাজ্য সরকারকে দেওয়া জরুরী।
কেন্দ্রের অভিযোগ খারিজ
কেন্দ্র সরকার এবং রাজস্ব বিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, লটারির টিকিট বিক্রির উপর সার্ভিস ট্যাক্স আরোপ করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই অভিযোগের কোনরকম আইনি ভিত্তি নেই। আদালতের রায় অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের আপিল এবং অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন ৫০ টাকার নোট আনছে RBI, পুরনো নোট কি বাতিল হয়ে যাবে?
সার্ভিস ট্যাক্স নয়, তবে রাজ্যের কর বাধ্যতামূলক
শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেন্দ্র সরকারের অধীনে সার্ভিস ট্যাক্স চাপানো সম্ভব হবে না। তবে রাজ্য সরকারের নির্ধারিত করগুলি প্রদান করতে হবে। এর ফলে লটারি ব্যবসায় যারা জড়িত, তারা বড় রকম আর্থিক স্বস্তি পাবেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ডিস্ট্রিবিউটারদের জন্য যেমন স্বস্তি নিয়ে এসেছে, তেমনই কেন্দ্র সরকারের নীতি নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন তুলছে। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এখন সেটাই দেখার।