রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন করে ভাবল রাজ্য সরকার। কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট ভাতা ২৫% বৃদ্ধির ঘোষণা কার হল অবশেষে। জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে। এটি একটি আনন্দদায়ক বিষয়, বিশেষ করে যারা মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) সম্পর্কে আপডেট আশা করছিলেন তাঁদের জন্য। তবে, সরকার সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাতা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে সন্তান সহ কর্মচারীরা এবং হোস্টেলে বসবাসকারীরা উপকৃত হবেন।
কোন ভাতাগুলি প্রভাবিত হবে?
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৫০% ছাড়িয়ে গেলে, শিশু শিক্ষা ভাতা এবং হোস্টেল ভর্তুকি জাতীয় কিছু ভাতা অটোমেটিক ২৫% বৃদ্ধি পাবে। এই রাজ্যও একইভাবে এখন এই পরিবর্তনটি বাস্তবায়ন করেছে, যা অনেক রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনছে।
শিশু শিক্ষা এবং হোস্টেল ভাতার জন্য নতুন হার
- শিশু শিক্ষা ভাতা: শিশুদের শিক্ষার জন্য সংশোধিত ভাতা এখন প্রতি মাসে ₹২,৮১২.৫০ হবে।
- হোস্টেল ভর্তুকি: যেসব কর্মচারীর সন্তানরা হোস্টেলে থাকে তারা প্রতি মাসে ₹৮,৪৩৭.৫০ পাবে।
- বিশেষভাবে সক্ষম শিশু: বিশেষভাবে সক্ষম শিশু যাদের কর্মচারী, তাদের ভাতা প্রতি মাসে ₹৫,৬২৫ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
- বিশেষভাবে সক্ষম মহিলা কর্মচারী: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মহিলা কর্মচারীরা প্রতি মাসে ₹৩,৭৫০ ভাতা পাবেন।
এই বর্ধিত পরিমাণ সরকারি কর্মচারীদের উপর আর্থিক বোঝা কমানোর লক্ষ্যে, বিশেষ করে যাদের সন্তানরা স্কুলে পড়ে বা হোস্টেলে থাকে।
কেন এই বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল?
১ জানুয়ারি, ২০২৩ সাল থেকে, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে হরিয়ানা সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ ৫০% অতিক্রম করে, যার ফলে এই ভাতাগুলিতে অটোমেটিক বৃদ্ধি শুরু হয়। অনেক কর্মচারী কিছুদিন ধরে এই ভাতাগুলির সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন এবং অবশেষে রাজ্য সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃষকদের জন্য বাজেটে বড় ঘোষণা, নতুন বাজেটে এবার কৃষকদের কপাল খুলে গেল
মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) সম্পর্কে কী?
যদিও হরিয়ানার সরকারি কর্মচারীদের জন্য এটি একটি স্বাগত পদক্ষেপ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপনের পর অনেকেই এখনও ডিএ বৃদ্ধির আশা করেছিলেন। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি, যার ফলে কিছুটা হতাশা দেখা দিয়েছে।
২০২৬ সালের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক সমর্থন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরণের আরও ঘোষণা করা হবে বলে মনে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গও কি সেই তালিকায় থাকবে?