রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং NBFC অর্থাৎ নন ব্যাঙ্কিং ফিন্যান্স কর্পোরেশন-গুলোর জন্য এমন এক নিয়ম বেঁধে দিয়েছে যে রীতিমত হিমশিম খেতে পারে ব্যাঙ্কগুলো। এটি মূলত হোম লোন বা ব্যক্তিগত লোনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ওদিকে প্রজেক্টের লোনের জন্যও চাপ বাড়ছে।
আসলে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করে ব্যাঙ্কগুলো অনেক উচ্চ ঝুঁকির ঋণ দিয়ে ঋণ আদায় করার সময় সমস্যায় পড়ছে। বিশেষত, রাস্তা, সেতু, বন্দর, বাঁধ, বিমানবন্দর, রেলপথ, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অন্য বড় প্রকল্পের জন্য লোন দিয়ে ভুগছে ব্যাঙ্কগুলো।
একমাত্র লোন নেওয়ার পর প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তবেই লোন পরিশোধ শুরু হয়। এবার ভুল করেও যদি প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলেই বিপদ ব্যাঙ্কে।
হঠাৎ বিপদ থেকে বাঁচতে ব্যাঙ্ক সাধারণত প্রদেয় লোনের 0.4 শতাংশ সংরক্ষণ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, এই ব্যাঙ্কগুলোর লোনের পরিমাণ 5 শতাংশ করা উচিত। লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাব অনুসারে, যদি কোনও প্রকল্প নির্মাণের পর্যায়ে থাকে, তবে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের পরিমাণের 5% আলাদা রাখতে হবে। প্রকল্প চলতে থাকলে এর পরিমাণ কমে দাঁড়াবে আড়াই শতাংশে। যদি প্রকল্পের যথেষ্ট মুনাফা হয় এবং এটি লোন পরিশোধ করতে থাকে, তাহলে এই পরিমাণটি 1 শতাংশে হ্রাস পাবে।
এমনিতেও বেসরকারি ব্যাঙ্কের শেয়ার এখন তলানিতে। তার উপর আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এহেন নির্দেশ বিপদ টানতে পারে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ কুমার খারা বলেছেন যে, যদি পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির অর্থায়ন সম্পর্কিত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাবিত নিয়মগুলি বাস্তবায়িত হয়, তবে ব্যাঙ্ক অবকাঠামো ঋণের জন্য সুদের হার বাড়াতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সরকারি রেশনের সুবিধা আর পাবেন না! বাড়িতে যদি এইসব জিনিস থাকে
আপনি কি কোনও হোম লোন বা ব্যক্তিগত ঋণ নিয়েছেন? যদি হ্যাঁ, তাহলে ব্যাঙ্ক কখন থেকে এই ঋণের উপর সুদ নিচ্ছে, অর্থাৎ ঋণের অনুমোদনের দিন থেকে বা অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ আসার দিন থেকে আপনি কি দেখেছেন?
আসলে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঋণ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম জারি করেছে। এই নিয়মগুলিতে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যাঙ্ক বা NBFC (ননব্যাঙ্ক আর্থিক সংস্থাগুলি) গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের উপর উচ্চ সুদ নিতে পারবে না। যদি ব্যাঙ্ক এটি করে থাকে তবে তাকে অতিরিক্ত সুদ ফেরত দিতে হবে। আর তাও যদি ব্যাঙ্ক এই নির্দেষগুলো না শোনে, তাহলে আপনি এর বিরুদ্ধে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে অভিযোগ করতে পারেন।