বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা ইত্যাদি হলে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং এর ফলে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা দূর করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্প চালু করেছে।
এই প্রকল্পে আপনার যদি ফসলের ক্ষতি হয় তাহলে আপনাকে আর্থিক সাহায্য করা হবে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে। আপনার ফসলের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে সেই পরিমাপ অনুসারেই আপনার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে
আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানিয়ে দেবো ফসলের ক্ষতিপূরণ পেতে কি করতে হবে, কিভাবে আবেদন করতে হবে, কোন কোন কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন এবং কিভাবে আপনি ক্ষতিপূরণ অর্থ পাওয়ার পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করবেন ইত্যাদি বিষয়গুলি। তাই প্রতিবেদনটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
ফসলের ক্ষতি হলে কত টাকা দেবে সরকার?
চলতি বছরে নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি কর্তৃক ছাড়া জলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দক্ষিণবঙ্গ বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে কৃষকদের প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কৃষকদের এই ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে ৪৬৮ কোটি টাকা ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করেছে।
কিভাবে আবেদন করতে হবে?
রাজ্য সরকারের পরিচালিত বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে অফলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র এবং সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্থানীয় পঞ্চায়েত বা কৃষি দপ্তরের জমা করে আসতে হয়। আমাদের প্রতিবেদনের নিচে এই আবেদন পত্রের লিংক দেওয়া আছে, আপনারা সরাসরি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
কোন কোন কৃষক ক্ষতিপূরণ পাবেন?
২০২৪ অর্থবর্ষে খারিফ মৌসুমে বাংলার শস্য বীমা প্রকল্পে যে সমস্ত কৃষক নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং যে সমস্ত কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেই সমস্ত কৃষকই এই শস্য বীমা প্রকল্পের টাকা পাবেন। উত্তরবঙ্গসহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক কৃষক এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরন বাবদ পেয়েছেন।
ক্ষতিপূরণের পেমেন্ট স্ট্যাটাস কিভাবে চেক করবেন?
আপনার ফসলের ক্ষতিপূরণের পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ গুলি অনুসরণ করুন-
(১) সর্বপ্রথম অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপনাকে ভিজিট করতে হবে।
(২) তারপর “With Bank Details Search” অপশনে ক্লিক করতে হবে।
(৩) তারপর সাল, সিজন, রাজ্যের নাম, জেলার নাম, ব্লকের নাম, গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম, ব্যাংকের নাম, ইত্যাদি তথ্যগুলো দিয়ে সার্চ করতে হবে।
(৪) কৃষকের যদি বীমা করা থাকে তাহলে ওই কৃষক বীমা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দেখতে পাবে।
(৫) “Claim Details” অপশনে ক্লিক করলে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে যত টাকা পাবেন সেই পরিমাণ দেখানো হবে।
(৬) “Claim Under Process” লেখা থাকলে কৃষক খুব শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন।
(৭) যে সমস্ত কৃষকের “Claim Not Reported Yet” লেখা থাকবে তারা ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন না।
আবেদনের সময়সীমা
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছে যে সমস্ত কৃষকদের বন্যার কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য এই আবেদনের সময়সীমা ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তাই এখনো যারা আবেদন করেননি দ্রুত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত বা কৃষি দপ্তরে জমা দিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুনঃ দশমীর পরেই ঢুকছে ১৮,০০০ টাকা, আবেদন করলে এরা সবাই পাবে
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক
বাংলা শস্য বীমা ফর্ম-১: Download Now
বাংলা শস্য বীমা ফর্ম-২: Download Now
পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করুন- Click Here