আবাস যোজনা, সাশ্রয়ী মূল্যে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের একটি আবাসন অর্থাৎ ঘর পাওয়ার প্রকল্প। আসন্ন উপনির্বাচনের কারণে পাঁচটি জেলা বাদে রাজ্য জুড়ে একটি চূড়ান্ত সমীক্ষা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ঘর পাওয়ার জন্য সার্ভের দরকার কেন?
সমীক্ষার জন্য সুবিধাভোগীদের অবশ্যই, নিজেদের বাড়িতে উপস্থিত থাকতে হবে। এরপর ফটো ডকুমেন্টেশন এবং জিও-ট্যাগিং করবেন অফিসাররা। তথ্য, নথি যাচাই করে সবটা খতিয়ে দেখে তবেই দেওয়া হবে আবাসন প্রকল্পের টাকা।
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্বেগ
কিন্তু এই মুহূর্তে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে কাজের বাইরে এবং সমীক্ষায় যোগ দিতে অক্ষম, সুবিধাভোগী তালিকা থেকে তাঁদের নাম কি তাহলে বাদ পড়তে পারে!
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি কোনও কর্মী উপস্থিত না হতে পারেন, তাহলে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যের সাহায্যেই সমীক্ষা চালিয়ে যেতে পারবেন। এর জন্যও নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
ঘর পাওয়ার নতুন যাচাইকরণ নিয়মটি জানেন?
প্রথম পর্যায়: পরিবারের সদস্যরা প্রাথমিক সমীক্ষার সময় পরিযায়ী কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন, যাচাইকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর বাড়ি তৈরির 60,000 টাকা পাবেন।
দ্বিতীয় পর্যায়: বাকি 40,000 টাকার পাওয়ার জন্য প্রকৃত পরিযায়ী কর্মীকেই দ্বিতীয় যাচাইকরণের সময় উপস্থিত থাকতে হবে। তাঁরা যদি এবার অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে এই টাকা পাবেন না।
কেউ বিদেশে কাজ করলে কী হবে?
বিদেশে কর্মরত যাঁরা, তাঁদের পরিবারের সদস্যরা প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষায় তাঁর হয়ে যাচাইকরণ করতে পারবেন। একই নিয়ম অনুসারে, পরবর্তী সমীক্ষায় শ্রমিককে নিজেকেই উপস্থিত থাকতে হবে। নাহলে টাকা পাবেন না।