এ তো সোনায় সোহাগা! পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট খুশির খবর ঘোষনা করেছে। বিশেষ এক পরিষেবায় কর্মরতদের ছুটির সময়সূচীতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘোষণা করেছে সরকার। এই নতুন নীতি কর্মীদের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসবে। জনসেবার খাতিরে যাঁরা উৎসবের আনন্দ ত্যাগ করেছিলেন, অর্থাৎ জরুরিকালীন কাজ করেছেন, তাঁদের জন্যই এই দুর্দান্ত সুখবর।
নতুন ছুটির ঘোষণার মূল হাইলাইটস
জরুরীকালীন কর্মীদের জন্য বর্ধিত ছুটি
বর্তমান পরিস্থিতি: সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা, দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো এবং ভাইফোঁটার মধ্য দিয়ে একটি দীর্ঘ ছুটির মরসুম উপভোগ করেন। তবে, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পৌরসভার কর্মীরা এই নিয়মিত ছুটি পান না।
পরিবর্তে, এই ছুটির দিনে কাজ করার জন্য ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই শ্রমিকরা উৎসব মরসুমের পরে 10টি বিশেষ ছুটি পান।
১০ দিনের বদলে ১৫ দিন ছুটি
জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য এই বিশেষ ছুটিই 10 দিন থেকে বাড়িয়ে 15 দিন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আদিবাসী ভবনে বিরসা মুন্ডার 150তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেন।
তিনি স্বীকার করেছেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের কর্মীরা জনসাধারণের কল্যাণের জন্য 24/7 কাজ করেন, এবং বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে তাঁরা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য, অতিরিক্ত সম্মান এবং স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকারী।
আদতে কোন কর্মীরা উপকৃত হবেন?
পুলিশ কর্মী, ফায়ারম্যান, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং পৌরসভার কর্মীরা এই বর্ধিত ছুটি নীতির প্রাথমিক সুবিধাভোগী হবেন। এই কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং ব্যস্ত উৎসবের সময় জন-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করেন। তাই তাঁদের জন্যই এই সুযোগ।
সুবিধাভোগীরা কী বলছেন?
জরুরী পরিষেবা খাতের কর্মীরা এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে, যারা প্রায়শই উত্সবকালীন সময়ে চাপের মধ্যে কাজ করে এবং এখন আরও বিশ্রামের সুযোগ পেয়ে তাঁরা খুশি।
আরও পড়ুন: মাত্র ২ সপ্তাহে ৫ লাখের বেশি আয়ুষ্মান কার্ডের আবেদন জমা পড়লো, আপনি কীভাবে করবেন?
সংক্ষেপে বলতে গেলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ সরকার জরুরি পরিষেবা কর্মীদের জন্য বিশেষ ছুটি 10 দিন থেকে বাড়িয়ে 15 দিন করেছে। উৎসবের মরসুমে যখন তাঁরা জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তখন এটি তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি।