মাধ্যমিকের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। এবার প্রথম বিভাগে পাশের হার কিছুটা কমেছে তা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু এবার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। ৫১ টি স্কুলের সকল পরীক্ষার্থী নাকি ফেল করেছে!
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার যা সিলেবাস এবং পরীক্ষা পদ্ধতি তাতে চাইলেও ফেল করা কঠিন বলে অনেক শিক্ষক মন্তব্য করে থাকেন। সেখানে ৫১ টি স্কুলের সকল পরীক্ষার্থী ফেল করার বিষয়টি রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে।
তবে শিক্ষা ব্যবস্থার এই ভয়াবহ ছবিটি আমাদের পশ্চিমবঙ্গের নয়, বরং ওপার বাংলার। আসলে এপার বাংলার মতই সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে মাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের ১১ টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। সার্বিকভাবে পাশের হার ৮০% এর বেশি। কিন্তু প্রায় তিন হাজার এমন স্কুল আছে যেখানকার মাত্র ১% পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষায় পাস করেছে। তবে সেদেশে সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছে ৫১ টি স্কুলের কারোরই মাধ্যমিকে পাস না করতে পারার বিষয়টি।
আরো পড়ুনঃ ভয়ের কোনো কারণ নেই! ৪ জুনের আগেই স্টক কিনতে বললেন অমিত শাহ
আমাদের মতই বাংলাদেশে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের পাশাপাশি আলাদা করে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা হয়। তবে বাংলাদেশের প্রতিটি ডিভিশনে আলাদা আলাদা শিক্ষা বোর্ড আছে। পশ্চিমবঙ্গের যেমন মাধ্যমিক স্তরে গোটাটাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আওতাধীন, বাংলাদেশে ব্যাপারটা ঠিক সেইরকম নয়।
ওখানে ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লার মত প্রতিটি ডিভিশনের আলাদা আলাদা শিক্ষা বোর্ড আছে। তারা সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুলগুলির পড়ুয়াদের পৃথকভাবে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা নিয়ে থাকে। তবে পরীক্ষার শুরু মোটামুটি একই তারিখে হয়।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেকটা উন্নত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও পড়ুয়াদের একাংশ মন দিয়ে পড়াশোনা না করাতে পরীক্ষার ফলাফল এমন ভয়াবহ হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা। ৫১ টি স্কুলের কোনও পড়ুয়ারই পাশ করতে না পারার ঘটনাটি একদিকে যেমন লজ্জাজনক তেমনই বিস্ময়করও বটে।
আরো পড়ুনঃ রেশনে কেরোসিন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত! আগে যা জুটত এখন তাও জুটবে না
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভাল ফল করেছে বলে দেখা গিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পরীক্ষার্থীরা। সেখানে পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ। আর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। পাশের হার ৭৩.৩৫ শতাংশ। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পরীক্ষার্থীদের পাশের হার ৮৩.৯২।