গরমের ছুটি তো শেষ হলো, এবার এইভাবে স্কুল মাস্টাররা শায়েস্তা হবে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যে গরমের ছুটি এবং ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর নতুন করে স্কুলে পড়াশোনা শুরু হয়েছে। এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতর স্কুল শিক্ষকদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এতে নর্দিষত

শিক্ষকদের প্রথম কাজ শিক্ষা দান করা। তার বাইরে স্কুল চলাকালীন অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়াই উচিত নয়। তাই এবার পড়ানোর বাইরে অন্য কোনও কাজ করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে রাজ্য। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিল এমনটাই।

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের জন্য কী জানানো হয়েছে?

এই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করে জানানো রয়েছে-

1) সরকারি কোনও নির্দেশ, ভোট সংক্রান্ত কোনও কাজ ছাড়া অন্য কোনও কারণে ছুটি নিতে হলে প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের কার্যকরী সমিতির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে শিক্ষকদের।

2) এই নিয়ম না মানলে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

3) মাসে মাসে সেই শিক্ষককে এই সংক্রান্ত তথ্য স্যালারি রিকুইজেশন স্লিপের সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রধান শিক্ষকদের।

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সরকার?

আসলে, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলা পরিদর্শকরা অভিযোগ করছেন যে, অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা স্কুলের কাজ না করে, অপেশাদার কাজ করছেন। প্রাইভেট টিউশন, ভোকেশনাল টিউশন বা বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা সমস্যায় পড়ছে। তাই শিক্ষা দফতরের তরফে থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলা পরিদর্শকের নেতৃত্বে ছোট ছোট দল তৈরি করে স্কুলগুলিতে নজরদারি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। যাতে স্কুলে কাজের সময় পঠনপাঠনের বাইরে শিক্ষকরা অন্য কোথাও মনোনিবেশ না করে। তার জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু শিক্ষকদের অপেশাদার কাজের বিপক্ষে হেড মাস্টারদের যুক্ত করাটা ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেছেন, বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা ছুটি নিয়ে কোথায় কী করবে, সেই বিষয়টি প্রধান শিক্ষকরা কীভাবে বুঝবেন। স্কুলের সময় শিক্ষকরা কাজ ফাঁকি দিলে, এই বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে স্কুল জেলা পরিদর্শকদেরই।

আরো পড়ুন: 2000 টাকার আবার গল্প শুরু! এখন নোট নিয়ে কী বলছে RBI?

আবার কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের কড়া দাবি, অনেক স্কুলই শিক্ষকদের অন ডিউটি দিয়ে তাঁদের পেশাগত সমস্যা মেটানোর জন্য জেলা পরির্দশকদের অফিসে পাঠাচ্ছে।

এরপর সেই শিক্ষকের ক্লাসগুলি ‘প্রভিশনাল রুটিন’ বলে নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এই পন্থা অবলম্বন করার পথ অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন। ক্লাস নিতে যাতে গাফিলতি করা নয় হয়, সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।

Leave a Comment