হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV) হল এমন একটি ভাইরাস যা শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হল এই ভাইরাস এখন ভারতেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কর্ণাটকে দুটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। স্বভাবতই এটি কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চীনে HMPV-এর অনেক কেস দেখা গিয়েছে এবং সেখানকার হাসপাতালগুলি রোগীতে ভর্তি।
প্রতিক্রিয়ায়, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ এখন সতর্ক রয়েছে এবং সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের ভাইরাসের লক্ষণগুলির জন্য সতর্ক থাকতে বলেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন, তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
এই রোগের লক্ষণ কী কী?
HMPV কাশি, হাঁচি বা সংক্রামিত ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিস স্পর্শ করার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি বেশিরভাগ শিশু এবং বয়স্কদের প্রভাবিত করে, যার ফলে সর্দি-কাশি – জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা এবং দুর্বল বোধের মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
কিছু ক্ষেত্রে, এটি নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে বা হাঁপানি বা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। বর্তমানে, HMPV-এর কোনও টিকা নেই, এবং এর চিকিৎসার জন্য ওষুধ ব্যবহার করার সময় ডাক্তাররা সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
সাধারণত, ভাইরাসটি ফুসফুসের উপরের অংশে সংক্রমণ ঘটায়, তবে কখনও কখনও এটি নীচের ফুসফুসে নিউমোনিয়ার মতো আরও গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই কোনও গুরুতর সমস্যা ছাড়াই সেরে ওঠেন, তবে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু এবং বয়স্কদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
কীভাবে সাবধান হবেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, শীত এবং বসন্তকালে HMPV-এর প্রাদুর্ভাব ঘটে এবং এখন ভারতে এটির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মানুষকে বারবার হাত ধোয়ার এবং সংক্রামিত ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। একজন ব্যক্তি সংক্রামিত হওয়ার পর ভাইরাসটির লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় 3 থেকে 6 দিন সময় লাগে।
আরও পড়ুন: HMPV-এর সংক্রমণে দেশে ফের লকডাউন? ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল-কলেজ
ভারতে বর্তমানে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, তবে স্বাস্থ্য বিভাগগুলি সতর্ক রয়েছে এবং নিশ্চিত করছে যে ডাক্তাররা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ সনাক্ত করার জন্য প্রস্তুত। যেহেতু কোনও ভ্যাকসিন বা দ্রুত প্রতিকার নেই, তাই লক্ষণগুলির চিকিৎসা এবং ভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।