555 Money Rule: বিনিয়োগের ‘৫৫৫ রুল’ মানলে হাতে আসবে টাকা আর টাকা

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আপনি গরিব ঘরে জন্ম নিয়েছেন এতে কোন‌ও দোষ নেই, কিন্তু মৃত্যুর সময়‌ও যদি গরিব থেকে যান তবে তার দায় সম্পূর্ণ আপনার। একটু আদল-বদল করে নিলে ঠিক এমনই কথা একবার বলেছিলেন বিশ্ব শ্রেষ্ঠ ধনকুবের বিল গেটস। তাঁর বক্তব্য ছিল, মানুষ শূন্য থেকে শুরু করতেই পারে, কিন্তু তারপর সঠিক পথে চললে তার হাতে উপচে পড়া উচিত টাকায়। কিন্তু বিষয়টা কি এতই সহজ?

চাইলেই তো আর অর্থ এসে আপনার কাছে ধরা দেবে না। কারণ আপনি পরিশ্রম করে একটা ভদ্রস্থ রোজগার করতেই পারেন। কিন্তু তা আর কতটুকু! তাতে কর্মজীবনটা হয়ত স্বাচ্ছন্দে কাটানো যায়, কিন্তু বৈভাবে কাটাবেন সেটা চাকরির অর্থ দিয়ে প্রায় অসম্ভব। আবার সবার পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। অথবা সব ব্যবসা লাভজনক হবে এমনও কথা নেই। আর ঠিক এখানেই এসে হাজির হয় বিনিয়োগের গুরুত্বের বিষয়টি

সময় থাকতে আপনি যদি নিজের রোজগার থেকে পরিকল্পনামাফিক অর্থ বিনিয়োগ করেন তবে অবসর নেওয়ার আগে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়াটা এমন কিছু কঠিন বিষয় নয়।

আর নিজের বর্তমান রোজগারের অর্থ সঠিক পথে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা করতে হলে ‘৫৫৫ রুল’ মেনে চলা প্রয়োজন।

দেখুন, এক্ষেত্রে একটা কথা প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে- বিনিয়োগ করা এবং সেখান থেকে রিটার্ন পাওয়ার একমাত্র এবং ১০০ শতাংশ ফুল প্রুফ কোন‌ও পদ্ধতি নেই। তবে গোটা বিশ্বের মধ্যেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘৫৫৫ রুল’ অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি কৌশল।

এই পদ্ধতি অনুসরণ করে কেউ যদি ২৫ বছর বয়সে এসে মাসে ৫০০০ টাকা দিয়ে ৩০ বছরের জন্য বিনিয়োগ শুভ করে তবে নিজের ৫৫ বছর বয়সে গিয়ে ২.৬৪ কোটি টাকার মালিক হবেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই রিটার্ন কি গ্যারান্টি যুক্ত? না, তবে এই মাত্রায় রিটার্ন না আসার কোনও কারণ নেই। কারণ এক্ষেত্রে ১২ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে রিটার্ন হিসাব করা হয়েছে। যেটা ঠিকঠাক জায়গায় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক একটি হার।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

তবে এখানেও একটা বিষয় আছে। ৩০ বছর ধরে প্রতি মাসে কেউ যদি নির্দিষ্ট ৫০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন এবং রিটার্নের হার যদি ১২ শতাংশ‌ই ধরা হয় তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর হাতে পাওয়ার কথা ১.৭৬ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত রিটার্ন কীভাবে আসবে এই প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক।

আর এখানেই ‘৫৫৫ রুল’-এর গুরুত্ব। বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি চাকরি করেন মানে প্রতি বছর আপনার আয় বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতিবছর ৫ শতাংশ স্টেপ‌আপ বা বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ শতাংশ করে বাড়াতে হবে। তাহলে ৩০ বছর বিনিয়োগ চালিয়ে যাওয়ার পর আপনি পেয়ে যাবেন ২.৬৪ কোটি টাকা।

এবার কেউ ৩০ এর বদলে ২৫ বছর বিনিয়োগ করেও একই পরিমাণ অর্থ পেতে পারেন। তাহলে তাঁকে প্রতিমাসে মোটামুটি ৯ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। এবার এই যে বিনিয়োগের কথা বললাম এটা সাধারণত এসআইপি-এর ইকুইটি ফান্ডের উপর ভিত্তি করে আমরা হিসেব করেছি। কেউ যদি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বা ফান্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে অতি রক্ষণশীল মনোভাব নেন তবে তিনি মোটেও এই রিটার্নের ধারে কাছে পৌঁছতে পারবেন না। আবার যারা ফান্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে লাভবান হবেন তাঁদের রিটার্ন আরও বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।

🔥সরকারি সুবিধা, চাকরির সুবিধা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন আপডেট মিস করতে না চাইলে আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকুন।

WhatsApp Group: Join Now

🔥 এগুলিও পড়ুন 👇👇

👉 ৬ বছর পর বেতন বাড়ল ৭৫০ টাকা, আবার আন্দোলনের হুশিয়ারি এইসমস্ত কর্মীদের

👉 ২০০০ এর বেশি নতুন চাকরির ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! কোথায় কত নিয়োগ?

👉 গ্যাসের দাম ১০০ টাকা তো কমলোই, সেইসাথে রান্নার গ্যাস নিয়ে আরো ১ সুখবর

👉 আরো কম দামে মিলবে রান্নার গ্যাস, নারী দিবসে বিরাট ঘোষণা মোদির

👉 কেউ ৫০০ টাকা কেউ ৭৫০ টাকা বেশি পাবেন! হাজার হাজার মহিলাদের খুশির খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

Leave a Comment