বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল এয়ারটেল (Airtel)। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেলিকম সংস্থা নীরবেই ১৮৯ টাকার ভয়েস অনলি প্ল্যানটি সরিয়ে দিল। ফলে এখন এয়ারটেলের সবথেকে কম দামের প্রিপেইড রিচার্জ প্ল্যান দাঁড়িয়েছে ১৯৯ টাকা। আর এতে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে, যারা শুধুমাত্র কলিং-এর জন্য ফোন ব্যবহার করে।
বন্ধ হল ১৮৯ টাকার প্ল্যান
এই প্লানটি একদম বেসিক ভয়েস রিচার্জ অপশন ছিল, যেখানে ২৮ দিনের আনলিমিটেড কলিং এর সুবিধা পেত গ্রাহকরা, যাদের ডেটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। তাই প্ল্যানটি বিশেষভাবে বয়স্ক নাগরিক এবং গ্রামীণ এলাকার ব্যবহারকারীদের জন্য একেবারে সেরার বিকল্প ছিল।
মাত্র ১৮৯ টাকা খরচেই কথা বলার সুবিধা থাকায় এটি অনেকের কাছে ছিল বাজেটের মধ্যে সেরা প্ল্যান। তবে হঠাৎ করে এই প্ল্যান সরিয়ে দেওয়ার ফলে অতিরিক্ত খরচের বোঝা গুনতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকের।
রয়েছে বিকল্প রাস্তা খোলা
তবে এয়ারটেল এখন ১৯৯ টাকার প্রিপেইড প্ল্যানকে নূন্যতম রিচার্জ প্ল্যান হিসেবে রেখে দিচ্ছে। এই প্ল্যানে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি দেওয়া হচ্ছে। সাথে আনলিমিটেড কলিং, দৈনিক ১০০টি এসএমএস এবং মোট ২জিবি ডেটার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু হ্যাঁ, ডেটা শেষ হয়ে গেলে প্রতি এমবি’র জন্য অতিরিক্ত ৫০ পয়সা করে দিতে হবে। তবে সমস্যা একটাই, যারা শুধুমাত্র কল করার জন্য ফোন ব্যবহার করে, তাদের জন্য এই ২ জিবি ডেটার কোনওরকম প্রয়োজন পড়ে না। অথচ, একই জিনিসের জন্যই ১০ টাকা করে বেশি দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ১০০০ থেকে ১৮০০ টাকা! ডিসেম্বরেই কি বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা?
কেন বন্ধ করা হয়েছে ১৮৯ টাকার প্ল্যান?
যদিও এখনও পর্যন্ত এয়ারটেলে তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু টেলিকম বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, তাদের এটি ব্যবসায়িক কৌশল। কারণ, বর্তমানে ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি দ্রুত ডেটা নির্ভর পরিষেবার দিকেই এগোচ্ছে। ভয়েস অনলি প্ল্যানের সংখ্যা এখন নেই বললেই চলে। সংস্থাগুলি চাইছে, গ্রাহকরা শুধুমাত্র কল নয়, বরং ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমেও বেশি পরিমাণে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকুক। তাই ভয়েস অনলি প্ল্যানগুলো ধীরে ধীরে বাজার থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
