কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বেকারত্ব মোকাবেলা ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য এবার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ (Employment Scheme) নেওয়া হল। ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে গোটা দেশে চালু হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী বিকশিত ভারত যোজনা, যা একদিকে দেশের কর্মসংস্থানের দরজা খুলে দেবে, আবার অন্যদিকে চাকরিপ্রার্থীদের হাতে সরকারি আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেবে।
৩.৫ কোটির বেশি চাকরির লক্ষ্যমাত্রা
এই প্রকল্পের আওতায় আগামী ২ বছরের মধ্যে তৈরি হবে প্রায় ৩.৫ কোটি কর্মসংস্থান, যার মধ্যে ১.৯২ কোটি মানুষ প্রথমবারের মতো কোনো সংস্থায় যোগ দেবে। আর কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, ৯৯,৪৪৬ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে এবং চলবে ৩১ জুলাই, ২০২৭ পর্যন্ত।
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?
এই স্কিমের মূল লক্ষ্য হল দেশে নতুন নিয়োগকারীদের উৎসাহিত করে তোলা। পাশাপাশি উৎপাদন খাতে বিশেষ জোর দিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ করা এবং কর্মসংস্থান নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা। সবথেকে বড় ব্যাপার, বিকশিত ভারত মিশনের লক্ষ্য পূরণে এবার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে উঠবে এই প্রকল্প।
কর্মীদের জন্য কী কী সুবিধা থাকবে?
এই প্রকল্পটি মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পার্ট A-তে থাকবে প্রথমবার চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মীরা। যারা ইপিএফ স্কিমে প্রথমবার নাম নিবন্ধন করবে, তাদেরকে প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ইপিএফ মিলবেম আর এই টাকা দুটি কিস্তিতে দেওয়া হবে। প্রথম কিস্তি ৬ মাস কাজ করার পর, আর দ্বিতীয় কিস্তি ১২ মাস কাজ করার পর দেওয়া হবে। তবে সর্বোচ্চ মাসিক বেতন হতে হবে ১ টাকার মধ্যে।
পার্ট B-তে থাকবে নিয়োগকারীদের জন্য উৎসাহ ভাতা। অর্থাৎ এখানে প্রতি অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করার জন্য সরকার ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে, তাও টানা দুই বছরের জন্য। আর যারা উৎপাদন ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগ করবে, তাদের জন্য ইনসেন্টিভ তৃতীয় এবং চতুর্থ বছরে আরো বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: এই কাজ না করলেই আর মিলবে না রেশন! ডেডলাইন দিয়ে দিল সরকার
কারা সবথেকে বেশি উপকৃত হবে?
এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ছোট, মাঝারি এবং বৃহৎ শিল্পে কর্মসংস্থান তৈরিতে জোর দেবে সরকার। বিশেষ করে উৎপাদন খাত, যেখানে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে, সেখানে কর্মীরা নিয়োগ হলে অতিরিক্ত সুবিধা মিলবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলে দেশের বেকারত্ব অনেকটাই ঘুচবে এবং সবাই অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে উঠবে।