রেশন (Ration) ব্যবস্থা নিয়ে আবারও বড়সড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। যাতে রেশন দোকানে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে না হয়, তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পদক্ষেপ। আসলে রেশন ব্যবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসা বিশৃঙ্খলা, সরবরাহের ঘাটতি বা অনিশ্চয়তার আবহে এবার তৎপর হয়েছে রাজ্য। রেশন দোকানগুলিতে যাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে যায়, সে উদ্দেশ্যে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
কী বলছে এই নয়া নির্দেশিকা?
নতুন নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চাল এবং গমের বরাদ্দ আগামী মাসের আগেই অর্থাৎ পূর্ববর্তী মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে মজুদ করে রাখতে হবে। আর আটা সরবরাহের ক্ষেত্রে মোট বরাদ্দের ৭০ শতাংশ আগের মাসের শেষ তারিখের মধ্যে পৌঁছতে হবে এবং ৩০ শতাংশ নতুন মাসের ৫ তারিখের মধ্যে পৌঁছতে হবে।
আর এই সময় সীমা মেনে চলাই বাধ্যতামূলক। কারণ লক্ষ্য একটাই, কোনও গ্রাহক যাতে রেশন থেকে বঞ্চিত না হয় এবং রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও আগাম পরিকল্পনা ডিলাররা সেরে ফেলতে পারে।
কেন নেওয়া হল এই পদক্ষেপ?
আসলে গত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন অভিযোগ আসছে যে, রেশন ডিলারদের দোকানের সময় মত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছচ্ছে না। কেউ কেউ নির্ধারিত তারিখে দোকানে গিয়ে রেশন না নিয়ে ফিরে আসছে। আবার কেউ সীমিত পরিমানে খাদ্যশস্য পাচ্ছে।
আর এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে এবং সরকারের উপর পড়ছে বাড়তি চাপ। খাদ্য দপ্তরের মতে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আগাম মজুদ করে রাখা একমাত্র পথ। তাই জারি হল এই নির্দেশিকা।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিসেম্বর বসু এ বিষয়ে বলেছেন, এই পরিকল্পনা খুবই ভালো। কিন্তু আমাদের দোকানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। যদি একসঙ্গে অনেক বেশি পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মজুদ রাখা নিয়ে সমস্যা পড়তে পারি। আর আমরা বিষয়টি খাদ্য দপ্তরকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: কিপ্যাড ফোনেই হবে UPI পেমেন্ট, লাগবে না ইন্টারনেট! নয়া প্রযুক্তি আনছে PhonePe
৪৫ দিন আগাম উত্তোলনের বার্তা
শুধু এখানেই শেষ নয়। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রেশন গ্রাহকদের জন্য এবার খাদ্য সামগ্রী কমপক্ষে ৪৫ দিন আগে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হ্যাঁ, এতে করে হঠাৎ কোনও জেলায় যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো সমস্যা ঘটে, তাহলে খাদ্য সরবরাহে কোনরকম ভাবে ব্যাঘাত ঘটবে না।