যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের কাছে একটি স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করা কার্যত দুর্ভিসহ হয়ে পড়ছে। তবে সেই স্বপ্ন আর্থিকভাবে বাস্তবায়ন করতে গেলে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত মানুষকে এখন ভরসা রাখতে হচ্ছে হোম লোনের (Home Loan) উপরে। কিন্তু এখানে তৈরি হচ্ছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
অনেক সময় প্রয়োজনীয় টাকা পেতে গিয়েই বাড়ি কেনার স্বপ্ন পিছিয়ে যায়। অথচ বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, কিছু টিপস খাটালেই বা ছোট পদক্ষেপেই আপনি অনায়াসে পেতে পারেন হোম লোনের অনুমোদন। তো চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকতে হবে
হোম লোন পেতে গেলে প্রথমে যেটা দেখে সেটা আপনার ক্রেডিট স্কোর। যদি ৭৫০-র বেশি ক্রেডিট স্কোর হয়, তাহলে সেটি ঋণদাতার কাছে পজেটিভ সিগন্যাল। এ থেকে বোঝা যায় যে, আপনি সময়মতো ইএমআই এবং বিল মিটিয়ে দেন এবং আর্থিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখেন। তাই সময়মতো ক্রেডিট কার্ডের বিল এবং অন্যান্য ইএমআই পরিশোধ করুন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত রাখুন
অনেকের আবেদন আটকে যায় ভুলভাল ডকুমেন্টের জন্য এবং ডকুমেন্টের ঘাটতির জন্য। তাই আবেদনের আগে অবশ্যই আধার কার্ড, প্যান কার্ড, বেতনের স্লিপ, ITR কপি, ব্যাংকের স্টেটমেন্ট, চাকরি প্রমাণপত্র, এগুলি সাথে রেখে দিন।
একসঙ্গে বহু জায়গায় আবেদন করবেন না
অনেকেই ভাবে যে, একাধিক ব্যাংকে একসঙ্গে হোম লোনের জন্য আবেদন করলে সুযোগ বেশি পাওয়া যাবে। তবে বাস্তবে এটা ক্রেডিট স্কোর কমিয়ে দিতে পারে। হ্যাঁ, বিশ্লেষকরা মনে করছে, সেই ঋণদাতাকে বেছে নিন, যে আপনার প্রোফাইল এবং আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ভালোভাবে জানে।
চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন
হোম লোনে আবেদন করার আগে চাকরি বদল করা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ ঋণদাতা দেখে যে, আবেদনকারী অন্তত ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন কিনা। আর চাকরির অস্থিরতা থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
অনলাইনে আবেদন করুন
বর্তমান সময় বেশিরভাগ ব্যাংক হোম লোনের জন্য ডিজিটাল আবেদন প্রক্রিয়া চালু করে ফেলেছে। আর এতে সময় বাঁচবে, এমনকি নথিপত্র যাচাই দ্রুত হবে। এমনকি কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন অনলাইনে হয়ে যায়। আর অনলাইনে আবেদন করলে খুব তাড়াতাড়ি অ্যাপ্রুভাল পাওয়া যায়।
নিজের সামর্থ্য বুঝে আবেদন করুন
হোম লোনের জন্য আবেদন করার সময় অবশ্যই নিজের আয়ের তুলনায় অতিরিক্ত ঋণ চাইবেন না। কারণ সেটি করলে ব্যাংক তা খারিজ করে দিতে পারে। তাই একটি লোন এলিজিবিলিটি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে জেনে নিন যে, আপনি ঠিক কতটা লোন নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আবার বাতিল হচ্ছে নোট? বড় সিদ্ধান্তের পথে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
পুরনো ঋণ মিটিয়ে ফেলুন
যদি আগে কোনও ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া আবার ইএমআই বিল থাকে, তাহলে তা পরিশোধ করে ফেলুন। এতে আপনার Debt-to-Income Ratio কমে যাবে। ফলে নতুন ঋণের জন্য ঋণদাতারা আপনাকে ভরসাযোগ্য মনে করবে।