বিদ্যুতের বিল রাতারাতি দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কেউ বলছে ৫০০ টাকার বিল এক লাফে বেড়ে ১২০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। আর এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে স্মার্ট মিটার (Smart Meter)। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই মিটার লাগানোর পর থেকেই উত্তেজনা আরো বাড়ছে। একদিকে রাজ্য সরকার বলছে যে, এটি আধুনিক প্রযুক্তি। আবার অন্যদিকে জনগণ বলছে, অজান্তেই আমাদের উপর খরচের বোঝা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
স্মার্ট মিটার আসলে কী?
স্মার্ট কার্ড হল প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটার। যেমন মোবাইলে রিচার্জ করে আমরা প্রতি মাসে ব্যবহার করি, তেমনই স্মার্ট মিটারে আগে টাকা রিচার্জ করতে হবে, তবেই মিলবে বিদ্যুৎ। আর এই মিটার ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের তথ্য সরাসরি বিদ্যুৎ দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়। ফলে কোনোরকম অনিয়ম বা অতিরিক্ত খরচ হলেই নজরে চলে আসে।
সাধারণ মানুষ কী বলছে?
তবে বাস্তব একটু আলাদা। নৈহাটি, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, মালদাসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছে অভিযোগ। আগে যেখানে ৬০০ টাকা বিলা আসতো, এখন সেই বিল ১১০০ টাকা আসছে। অথচ ব্যবহারের পরিমাণ একটু বাড়েনি। অনেকে দাবি করছে যে, তাদের অনুমতি ছাড়া নতুন মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আবার ব্যক্তিগত তথ্য নজরদারি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ
তবে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে স্মার্ট মিটারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে সাধারণ মানুষ। নৈহাটিতে একাধিক দলীয় সংগঠন এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকরা মিছিল করে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে। শিলিগুড়ি, বাঁকুড়া, বর্ধমানে মিটার খুলে ফেলে দেওয়ার মত প্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ খুব উগড়ে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: এই ভুল করলেই বন্ধ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা, চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম
স্মার্ট মিটার কি বাধ্যতামূলক?
এখনো পর্যন্ত রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে স্মার্ট মিটার বসানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিদ্যুৎ দপ্তর প্রতিটি জেলায় ধাপে ধাপে স্মার্ট মিটার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে যে, ২০২৭ সালের মধ্যেই গোটা রাজ্যে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হবে। তবে এই পরিবর্তন গ্রাহকদের সম্মতি যাচাই করেই করা হবে বলে জানানো হয়েছে।