রেশন ব্যবস্থাকে আরো স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিরাট পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে থেকে এবার রাজ্যগুলিকে পাঠানো হয়েছে নির্দেশিকা। কিন্তু সেই নির্দেশ পালনের পথে এবার বিরাট সমস্যার মুখোমুখি বাংলা রেশন ডিলাররা।
জানা যাচ্ছে, নবান্নের তরফ থেকে তিন মাসের খাদ্যশস্য মজুদ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ পাওয়ার পর রেশন ডিলারদের সংগঠন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে চিঠি দেন। আর সেখানে জানানো হয়, আমাদের কাছে নেই পরিকাঠামো।
মজুদ নেই খাদ্যদ্রব্য, নির্দেশ মানতে নারাজ
সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে রেশন ডিলারদের বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার আওতায় আগামী ছয় মাসের খাদ্যশস্য মজুদ করে রাখতে হবে। আর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার জন্য তিন মাসের খাদ্যদ্রব্য মজুদ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তবে এরই প্রেক্ষিতে ফেয়ার প্রাইস অফ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিসম্বর বসু জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের অধিকাংশ রেশন দোকানে দুই মাসের বেশি খাদ্যশস্য সংরক্ষণের মতো জায়গায় নেই। আর ছয় মাস তো অনেক দূর।
এমনকি ডিলাররা দাবি করছে, এতটা পরিমাণ শস্য মজুদ রাখতে চাইলে আলাদা গুদাম দরকার হবে। আর তা না থাকলে সরকারকে ঘর ভাড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর তারা রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করেছে, যাতে সরকারি উদ্যোগে বা সরকারি গোডাউনে শস্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
আবহাওয়ার দোহাই দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার
কেন্দ্র সরকার বলেছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে খাদ্যশস্য আগাম মজুদ করে রাখতে হবে। রাজ্য আবার ভারত পাকিস্তান সীমান্তে বর্তমানে উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে আগামী তিন মাসের জন্য মজুদের পরিকল্পনা করেছিল।
আর এরই প্রেক্ষাপটে ডিলারদের কাছে জানতে চাওয় হচ্ছে, তাঁদের কাছে উপযুক্ত পরিমাণ শস্য মজুদ রাখা সম্ভব কিনা। তবে ডিলারদের বক্তব্য, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নেই। তাই এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে পারছি না।
আরও পড়ুন: ডিএ নয়, তবে এই ভাতা ২৫% বাড়ল! কর্মচারীদের পকেটে ঢুকবে মোটা অঙ্কের টাকা
এমনকি বিশ্বম্ভব বসু আরো বলেছেন, আমরা কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার দুই পক্ষকে জানিয়েছি। ডিলারদের পক্ষে কোনভাবেই এই শস্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে না। তাই সরকারের উচিত আমাদের পাশে দাঁড়ানো। নাহলে এই পদক্ষেপ কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে।