বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমান সময়ে যেন একটা দিনও কল্পনা করা যায় না। কিন্তু মাসের শেষে যখন বিদ্যুতের বিল হাতে আসে, তখন অনেকেই দুশ্চিন্তার মুখোমুখি পড়েন। বিশেষ করে সাধারণ বা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য বিদ্যুতের খরচ এখন এতটাই বেশি হয়ে গিয়েছে, যে বিল মেটাতে কালঘাম ছুটছে তাদের। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার আনতে চলেছে এক দারুন স্কিন। জানা যাচ্ছে, প্রতিমাসে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ এবার একেবারে বিনামূল্যে মিলবে।
কেন এই উদ্যোগ?
বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্যুতের বিল বাড়তে থাকার কারণে সাধারণ মানুষের উপর চাপ পড়ছে। আর পাশাপাশি সরকারও চাইছে যে, বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার এবং জ্বালানি সাশ্রয় করা। আর এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আনা হচ্ছে ফ্রী ইলেক্ট্রিসিটি যোজনা। আর এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য একটাই – সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া।
কারা পাবেন এই সুবিধা?
এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পের আওতায় নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে টার্গেট করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে অবশ্যই কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল-
- আবেদনকারীকে অবশ্যই বিপিএল পরিবারের সদস্য থাকতে হবে।
- অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর নাগরিক হতে হবে।
- যারা প্রতি মাসে ১৫০ ইউনিটের কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, একমাত্র তারাই এই সুবিধা পাবেন।
- আবেদনকারীকে প্রতিবন্ধী নাগরিক হতে হবে।
- মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের পরিবার হতে হবে।
- প্রাক্তন সেনাদের বিধবা স্ত্রী হতে হবে।
উপরের ক্যাটাগরির বাসিন্দারাই একমাত্র এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে। অর্থাৎ যেকোন একটি ক্যাটাগরির নাগরিক হলে ১২৫ ইউনিট বিদ্যুৎ একেবারে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।
কোন কোন রাজ্যের মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?
এখনো পর্যন্ত প্রাথমিক পর্যায়ে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক এবং পাঞ্জাব রাজ্যগুলিকে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি রাজ্যকে এই তালিকায় যুক্ত করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫৫ টাকায় ৩৬৫ দিন ভ্যালিডিটি! জিওর এই অফারে ঘুম উড়ছে Airtel, Vi-র
কীভাবে আবেদন করবেন?
যারা এই ফ্রি বিদ্যুৎ পরিষেবার সুবিধা নিতে চান, তাদেরকে নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি মেনে আবেদন করতে হবে-
- প্রথমে নিজের নিজের রাজ্যের বিদ্যুৎ বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
- এরপর সেখানে ‘Subsidy Application’ বা ‘Free Electricity Scheme’ লেখা অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর একটি ফর্ম ডাউনলোড হবে। আপনি চাইলে ফর্মটি অনলাইনেও পূরণ করতে পারেন।
- এবার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট কেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড, বিদ্যুৎ বিলের কপি, পরিবারের বার্ষিক আয়ের সার্টিফিকেট, বিপিএল সার্টিফিকেট ইত্যাদি সাবমিট করতে হবে।
- এরপর সরকারি আধিকারিকরা আপনার বাড়িতে এসে যাচাই-বাচাই করে আবেদন গ্রহণ করবে।
- জানা যাচ্ছে, অনুমোদনের পর থেকেই প্রতি মাসে ১২৫ মিনিট বিদ্যুৎ একেবারে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।