ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা এমনিতেই এখন তুঙ্গে। আর ঠিক তখনই বিদেশের মাটিতে ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা না চাইতেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, ওমানের মাছ মাসকটে অনুষ্ঠিত দশম এশিয়ান বিচ হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় হ্যান্ডবল দল। আর সেখানে গো-হারা হেরেছে ভারত।
ম্যাচ খেলতেই চাননি ভারতীয় খেলোয়াড়রা
আসলে দেশের মধ্যে যখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি, ঠিক তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামার বিষয়টি ভারতীয় খেলোয়াররা ভাবতেই পারেনি। প্রাথমিকভাবে খেলোয়াড়রা ম্যাচ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের মতামত ছিল যে, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা মানে দেশের অসম্মান করা।
ম্যাচ বয়কট মানেই ছিল বিরাট শাস্তি
তবে বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এএইচএফ এর তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি ভারত ম্যাচ না খেলে, তাহলে অন্তত ১০ হাজার মার্কিন ডলারের জরিমানা গুনতে হবে। সঙ্গে আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় দুবছরের জন্য নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হতে পারে।
আর এহেন পরিস্থিতিতে হ্যান্ডবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দেশের স্বার্থে খেলা করা হবে। নির্বাহী পরিচালক আনন্দেশ্বর পান্ডে স্পষ্ট বলে দেন, খেলোয়ারদের অনুভূতির গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎকে দেখতে হবে। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল ভারতীয় প্লেয়াররা।
আরও পড়ুন: আর্থিক নিরাপত্তা ও নিশ্চিত আয়, দুই’ই একসাথে! LIC-র জীবন উৎসব পলিসির ৫টি সেরা সুবিধা
মাঠে ঠিক কী ঘটেছিল?
ওমানের মাসকটে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই ভারতকে পরাজিত করে দেয়। ২-০ সেটে ম্যাচ শেষ হয়। খেলোয়াড়দের মনোবল এবং মানসিক চাপ মাঠের মধ্যেই স্পষ্ট ছিল। আর হারের চেয়ে বেশি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে ম্যাচে অংশগ্রহণ করা। তাও যখন দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রীড়া মহল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। কেউ কেউ বলছেন, খেলাধুলা রাজনীতির ঊর্ধ্বে হওয়া উচিত। আবার কেউ বলছেন যে, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনো রকম খেলা মানেই দেশকে অসম্মান করা।