১লা মে থেকে দেশজুড়ে বন্ধ ডিম ও মুরগি বিক্রি! কেন এমন সিদ্ধান্ত?

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ডিম এবং মুরগি (Egg And Chicken) প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান। তবে হঠাৎ যদি শুনতে পান, এগুলি আর পাওয়া যাবে না, তাহলে কেমন লাগবে? হ্যাঁ, এমনটাই হতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ১লা মে থেকে বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ হতে চলেছে ডিম এবং মুরগি উৎপাদন। আর এই সিদ্ধান্তে রাতারাতি শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল হঠাৎ? জানতে হলে প্রতিবেদনটি পড়ুন।

কেন এরকম সিদ্ধান্ত?

বাংলাদেশের পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি জানিয়েছে, দেশ জুড়ে লক্ষাধিক প্রান্তিক খামার এখন কার্যত ধ্বংসের মুখে পড়েছে। চাহিদা থাকার পরেও বাজারে সিন্ডিকেটের দাপট দিনের পর দিন বাড়ছে। এতে ইদ এবং রোজার মরসুমে বড়সড় ধাক্কা খাচ্ছে খামার মালিকরা। হিসাব বলছে, দুই মাসে শুধুমাত্র ডিম এবং মুরগির খাতে ক্ষতি হয়েছে ১২৬০ কোটি টাকা। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন।

কীভাবে এই ক্ষতি হচ্ছে?

সুত্রের খবর, রোজা এবং ঈদের সময় প্রান্তিক খামারের মালিকরা প্রতিদিন প্রায় ২০ লক্ষ কেজি মুরগি বাজারে সরবরাহ করছেন। কিন্তু প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। এমনকি শুধু মুরগি থেকেই ১ মাসের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। 

অপরদিকে প্রতিদিন ৩ কোটি করে ডিম উৎপাদিত হচ্ছে বলে খবর। প্রতি ডিমে ২ টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামার মালিকদের। আর এই দুই মাসে ডিমে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাজারে আসছে নতুন ১০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট! পুরনো নোট কি বাতিল হবে?

খামার মালিকদের হাহাকার সত্ত্বেও সরকারের নীরবতা

এই বিশাল ক্ষতির ভার নিতে না পেরে পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে, ১লা মে থেকে তারা আর ডিম এবং মুরগির উৎপাদন করতে পারবে না। অর্থাৎ, সারা দেশের ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ রাখা হবে। আর এর ফলে বাংলাদেশের খাদ্য ব্যবস্থায় বড়সড় সংকট দেখা দিতে পারে।

অভিযোগ উঠছে, একাধিক প্রভাবশালী গ্রুপ এবং সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। যার ফলে খামার ব্যবসায়ীরা উৎপাদন খরচ পাচ্ছে না। অথচ সরকার এখনো এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। এখন দেখার, বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয় দেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Leave a Comment