আমরা প্রতিদিন বাজারে গেলে ১ টাকা, ২ টাকা, ৫ টাকা কিংবা ১০ টাকার কয়েন (10 Rupees Coin), সব রকমই খরচ করি। কিন্তু আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, কেন ১০ টাকার কয়েনটি দেখতে আলাদা হয়? কেন এর বাইরে সোনালী বা হলুদ, আর মাঝখানের অংশ রূপালী?
আসলে এই প্রশ্নের উত্তর ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই দিতে পারবে না। অথচ এটাই আমাদের পকেটে সব থেকে বেশি ঘোরাফেরা করে। তো চলুন আজকের এই প্রতিবেদনে ১০ টাকার কয়েনের অজানা কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক, যা সাধারণ মানুষের জানা অত্যন্ত জরুরি।
১০ টাকার কয়েন কেন দেখতে আলাদা হয়?
আমরা যত কয়েন দেখেছি, সে ১ টাকা হোক, ৫ টাকা হোক, কিংবা ২ টাকা, সবই দেখতে একই রকম। কিন্তু ১০ টাকার কয়েন একেবারে আলাদা। এর কারণ, এটি তৈরি করা হয়েছে দুটি ভিন্ন রকম ধাতু দিয়ে। আর এটাকে বলা হয় Bimetallic Coin বা দ্বিধাতব কয়েন।
কোন কোন ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয় এই কয়েন?
যেমনটা জানা যাচ্ছে, এই কয়েনের মাঝখানের রূপালী অংশটি তৈরি হয় কুপ্রো-নিকেল দিয়ে। আর এটি দেখতে অনেকটা রুপোর মত চকচকে। তবে এতে কোন রুপো থাকে না। পাশাপাশি বাইরের হলুদ অংশটি তৈরি হয় অ্যালুমিনিয়ামের ব্রোঞ্জ দিয়ে। আর যার জন্য এই রঙের পার্থক্য দেখা যায়।
এই রঙের পিছনে কারণ কী?
আসলে এরকম ডিজাইনের পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কারণ। তা হল নকল প্রতিরোধ করা। দুটি ভিন্ন ধাতুর ব্যবহারে একটি কয়েন তৈরি করা হয়, যা অনেক বেশি জটিল এবং নকল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। শুধু তাই নয়, এই ধাতুর সঙ্গে মিশ্রণ কয়েনকে আরো টেকসই করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: তিনটি নামিদামি ব্যাঙ্ককে আরবিআইয়ের কড়া শাস্তি! হল লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা
কয়েন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়?
২০১৮ সালের একটি সরকারি রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, একটি ১০ টাকার কয়েন তৈরি করতে সরকারের ৫.৫৪ টাকা খরচ হয়। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। পাশাপাশি ১ টাকার কয়েন তৈরি করতে খরচ হয় ১.১১ টাকা, ২ টাকার কয়েন তৈরি করতে খরচ হয় ১.২৮ টাকা এবং ৫ টাকার কয়েন তৈরি করতে খরচ হয় ৩.৬৯ টাকা। তবে সব থেকে বড় ব্যাপার, এই সমস্ত কয়েন বহু বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাই সরকারের এক প্রকার লাভ থাকে।
আসলে আমাদের চারপাশে এমন অনেক জিনিস থাকে, যা সম্বন্ধে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানি না। অথচ এরকম সাধারণ তথ্য জেনারেল নলেজের ক্ষেত্রে খুবই জরুরী। আর ১০ টাকার কয়েন এমনই এক উদাহরণ, যা আমাদের দেশের প্রযুক্তিগত উন্নতিতেও ভুমিকা রাখে।