বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বড় চমক, ১২ লক্ষ উপভোক্তার জন্যে এবার রাজ্যের বড় পদক্ষেপ

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন। রাজ্যের ১২ লক্ষ গৃহস্থালি গ্রাহকের জন্য একটি বড় ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৬০,০০০ টাকার প্রথম কিস্তি ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে। বাংলার প্রান্তিক মানুষদের নিজস্ব বাড়ি তৈরিতে সহায়তা করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগে আর কী কী চমক রয়েছে?

যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আবাসন প্রকল্প সহ বাংলায় বেশ কয়েকটি প্রকল্পের জন্য তহবিল আটকে রেখেছে, রাজ্য বিষয়টি নিজের হাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করে রাজ্যের ২৮ লক্ষ প্রান্তিক মানুষের জন্য ঘর তৈরি করছে। এই সিদ্ধান্তটি গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতির অংশ ছিল।

বাংলার বাড়ি কী?

বাংলার বাড়ি প্রকল্প হল একটি আবাসন প্রকল্প যা দরিদ্র পরিবারগুলিকে ঘর তৈরিতে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায়, রাজ্য সরকার সুবিধাভোগীদের, বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর লোকদের, তহবিল প্রদান করছে।

১২ লক্ষ সুবিধাভোগীকে প্রথম কিস্তি প্রদান করা হয়েছে

এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১২ লক্ষ সুবিধাভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৬০,০০০ টাকার প্রথম কিস্তি জমা করা হয়েছে। এই পরিমাণ বাড়ি নির্মাণে সহায়তা করার জন্য এবং প্রক্রিয়াটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত অফিস ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে প্রথম কিস্তি দেওয়া হয়েছে, এ সম্পর্কে অবহিত করেছে।

সুবিধাভোগীরা পুরো বাড়ি তৈরি করতে পারবেন

সুবিধাভোগীদের জন্য সুখবর! তাঁরা আর কেবল প্রথম কিস্তি দিয়ে বাড়ির কিছু অংশ তৈরি করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নন। এখন তাঁদের পুরো বাড়ি তৈরির স্বাধীনতা রয়েছে এবং দ্বিতীয় কিস্তি সময়মতো প্রদান করা হবে। পঞ্চায়েত বিভাগ জেলাগুলিতে নতুন নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে, যার মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা চাহিদা অনুযায়ী তাদের বাড়ি তৈরি করতে পারবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: GST থেকে পশ্চিমবঙ্গের রেকর্ড আয়! রাজ্যের উন্নয়ন এবার আরও দ্রুত এগোবে

দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে পাবেন?

প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পরে সুবিধাভোগীদের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ প্রদান করা হবে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার আশ্বাস দিয়েছেন যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দ্রুত সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তদুপরি, সুবিধাভোগীরা প্রমাণ হিসেবে শংসাপত্রের ফটোকপি পাবেন।

Leave a Comment