ভারত এবং পাকিস্তান একদিনের ব্যবধানে স্বাধীন হলেও দুই দেশের অর্থনৈতিক গতি সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে এগিয়েছে। এর একটি বড় প্রমাণ হলো দুই দেশের মুদ্রার মধ্যে পার্থক্য। ভারতের রুপির সঙ্গে তুলনা করলে পাকিস্তানের রুপিয়া বর্তমানে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি এই পার্থক্য আরো বেড়ে গেছে।
ভারতীয় রুপির দাম বাড়ল, পাকিস্তানের রুপিয়ার দাম কমলো
গত কয়েকদিন ধরে আমেরিকান ডলারের তুলনায় ভারতীয় রুপির মান কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও শেয়ারবাজারে এখনো পুরোপুরি দাম বাড়েনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে টাকার মূল্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতি চরম সংকটের মুখোমুখি হওয়ায় তাদের রুপিয়ার দাম আরো কমে গেছে।
- গত সোমবার ভারতের ১ রুপির সমান ছিল পাকিস্তানের প্রায় ৩.১৭ রুপিয়া।।
- তবে বুধবার এই ব্যবধান আরো বেড়ে যায়। ভারতের ১ রুপির মূল্য বুধবার দাড়ায় পাকিস্তানের প্রায় ৩.২২ রুপিয়া। অর্থাৎ, ভারতের ১০০ টাকা এখন পাকিস্তানের প্রায় ৩২২.৭ রুপিয়ার সমান।
কেন এই পার্থক্য?
ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের মুদ্রার মূল্যের পার্থক্যের পেছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। সেগুলি হল-
- ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। উন্নত রিজার্ভ ব্যাংক, বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রভাব এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা ভারতের অর্থনীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
- পাকিস্তান বর্তমানে চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আইএমএফ-এর ঋণ নির্ভরতা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং শেয়ার বাজারের অস্থিরতার ফলে তাদের মুদ্রার দাম আরো কমে গেছে।
- ভারতের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বজায় রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক সময় কিছুটা চাপ দেখা গেছে। তবে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের অবস্থান এখনো শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: এইসব লোকদের বিনামূল্যে রেশন বন্ধ হয়ে যাবে, ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই কাজ করতেই হবে
ভারতের রুপির মান আরো বৃদ্ধি পাওয়া এবং পাকিস্তানের রুপিয়ার মান কমে যাওয়া শুধু দুই দেশের অর্থনৈতিক শক্তির পার্থক্য নয়, বরং সঠিক অর্থনৈতিক গুরুত্বের একটি উদাহরণ তা বলা যায়। ভারতের রূপির এই শক্তি বৈদেশিক বিনিয়োগে আরো সাহায্য করবে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতির অস্তিত্ব আনতে হলে তাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে।