রাজ্যে জমি-বাড়ি কেনার নতুন নিয়ম চালু হল, এই নিয়ম না মানলেই সব শেষ হয়ে যাবে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

নতুন জমি কিংবা বাড়ি কিনতে চলেছেন! তাহলে আপনার জন্যই এই খবর। নতুন জমি বা বাড়ি কেনার সময় সম্পত্তি করের সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট বাধ্যতামূলক করে একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এই নিয়ম সরকারকে সম্পত্তি কর আরও কার্যকরভাবে ট্র্যাক এবং সংগ্রহ করতে সহায়তা করবে। এটি এখন রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

পশ্চিমবঙ্গের সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট কী?

যখন কেউ জমি বা বাড়ি জাতীয় নতুন সম্পত্তি কিনবেন, তখন তাঁদের সম্পত্তির মূল্য সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট করতে হবে। এর অর্থ হল ক্রেতাকে তাঁদের কেনা সম্পত্তির মূল্যের উপর ভিত্তি করে সম্পত্তি কর গণনা করতে হবে। সম্পত্তি নিবন্ধিত হয়ে গেলে, অটোমেটিকভাবে ক্রেতার কাছে একটি সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট নোটিশ পাঠানো হবে। ক্রেতাকে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

এই নিয়ম, যা ইতিমধ্যেই পৌরসভাগুলির (শহর এবং শহর) জন্য কার্যকর ছিল, এখন পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকায় প্রসারিত হবে। পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত উভয় এলাকাও এই স্ব-মূল্যায়ন ব্যবস্থার অংশ হবে। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত বিভাগ এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

এই বিভাগ নিবন্ধন ও স্ট্যাম্প শুল্ক বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যাতে সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। ক্রেতা সম্পত্তি নিবন্ধন করার পর, গ্রাম পঞ্চায়েত (স্থানীয় শাসক সংস্থা) স্ব-মূল্যায়ন বা সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট-এ প্রদত্ত বিবরণ যাচাই করবে। এটি নিশ্চিত করবে যে সম্পত্তি কর পরিশোধ লুকানোর বা ফাঁকি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।

সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট না করলে কী হবে?

ক্রেতা যদি সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না করেন, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইনি ব্যবস্থা নেবে। এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে সরকার সম্পত্তি কর ফাঁকি রোধ করার লক্ষ্য নিয়েছে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত ক্রেতারা সরকারের কাছ থেকে এসএমএস রিমাইন্ডার পাবেন।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: মিশে যাচ্ছে সব পে-লেভেল, এইসব কর্মীদের বেতন ৩ গুন বৃদ্ধি পাবে

নতুন ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের কী কী সুবিধা হবে?

স্ব-মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক করে, রাজ্য সরকার আশা করে:

  • সম্পত্তি কর থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা।
  • সমস্ত সম্পত্তি মালিকদের তাদের বকেয়া কর প্রদান নিশ্চিত করে কর ফাঁকি রোধ করা।
  • সম্পত্তি কর ব্যবস্থার দক্ষতা উন্নত করা।

দীর্ঘমেয়াদে, এর ফলে রাজ্যের জন্য আরও ভালো সম্পদ তৈরি হবে, আয় বাড়বে। যা জনসেবা এবং উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

Leave a Comment