মহার্ঘ ভাতা নিয়ে সুখবর দিয়েও লাভ হয়নি। কাউন্টে বেতন ঢুকছে না সরকারি কর্মীদের! চিন্তায় এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা রাজ্যের নতুন সফ্টওয়্যার সিস্টেমে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বেতন বিলম্বের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
আর্থিক কাজ পরিচালনার জন্য ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে কম্প্রিহেনসিভ ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ২.০ (সিএফএমএস) চালু করা হয়েছিল, কিন্তু এটি সমস্যার সৃষ্টি করেছে, যার ফলে বেতন প্রদানে বিলম্ব হয়েছে। ফলস্বরূপ, প্রায় ৮ লক্ষ কর্মচারীর বেতন আটকে আছে।
কারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন?
বেতন বিলম্বের ফলে কর্মচারীদের অনেক গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে:
- বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা সময়মতো তাঁদের বেতন পাননি।
- ৩ লক্ষ আঞ্চলিক কর্মচারী, ৫ লক্ষ শিক্ষক এবং ৫০,০০০ চুক্তিবদ্ধ কর্মীও ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি।
- এমনকি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীও এই সমস্যার কারণে তার বেতন পাননি।
কেন এমন হচ্ছে?
নতুন সফ্টওয়্যার সিস্টেমে ত্রুটির কারণে সমস্যাটি শুরু হয়েছিল। বিহার সরকার ২০১৯ সালে কম্প্রিহেনসিভ ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CFMS) এর একটি ভার্সন চালু করেছিল, কিন্তু এটি সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান করতে পারেনি। এই বছর চালু হওয়া সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণে এখনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে, যার ফলে বেতন বিলম্বিত হচ্ছে।
রাজ্য কর্মচারীদের বেতন প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি মাসে ৬,০০০ কোটি টাকার প্রয়োজন, কিন্তু সফ্টওয়্যার সমস্যার কারণে তা হচ্ছে না। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে সমস্যাটি শীঘ্রই সমাধান করা হবে, দুই মাস পরেও সমস্যাটি অব্যাহত রয়েছে।
মহার্ঘ্য ভাতা (DA) সম্পর্কে সুসংবাদ
বেতন বিলম্বের সমস্যা সত্ত্বেও, বিহারের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য কিছু সুসংবাদ রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০২৪ সালের নভেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা (DA) ৩% বৃদ্ধি পাবে। এই বৃদ্ধি জুলাই ২০২৪ থেকে কার্যকর, যার ফলে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতাধীন কর্মচারীদের মোট মহার্ঘ্য ভাতা ৫৩% এ পৌঁছেছে।
এর অর্থ হল, কর্মচারীরা এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মতোই মহার্ঘ ভাতা পাবেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল লেনদেনে রাজত্ব করছে ফোনপে, জানুয়ারিতে ৮.১ বিলিয়ন লেনদেন করে বিশ্ব রেকর্ড
এরপর কী হবে?
বিহার সরকার এখনও নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। কর্মচারীরা সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন যখন তাঁরা অবশেষে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির বেতন পাবেন। এদিকে, বর্ধিত মহার্ঘ ভাতার জন্যও অপেক্ষা করছেন, যা কিছুটা স্বস্তি দেবে।