রাজ্যজুড়ে দীর্ঘদিন অভিযোগ উঠে আসছে- ‘শিল্প নেই, কর্মসংস্থান নেই।’ এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৪ বছর আগে দক্ষিণ দিনাজপুরে চারটি শিল্প পার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। যদিও মাঝে সেটা কেবল প্রস্তাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার এই বদনাম ঘোচাতে রাজ্য সরকার তৎপর হয়েছে।
শিল্প পার্কের কাজ শুরু হল
বালুরঘাট শহরের লাগুয়া পশ্চিম রাজনগরের ছয় একর জমিতে শিল্প পার্ক বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। জানা গেছে এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে ৮ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে। এলাকায় শিল্প গড়ে তোলার জন্য বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ।
শিল্প পার্কের গুরুত্ব
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা দীর্ঘদিন ধরে শিল্পহীন একটি জেলা হিসেবে পরিচিত রয়েছে। শিল্পের অভাবে এই জেলার যুবক-যুবতীরা কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তবে এবার শিল্প পার্কের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন আশা তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে-
- কর্মসংস্থান আরও বৃদ্ধি পাবে।
- অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে।
- স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা নিজের এলাকায় কাজের সুযোগ পাবে।
অতীতের উদ্যোগের বর্তমান বাস্তবায়ন
বাম আমলেও বালুরঘাটের রায়নগরে শিল্প পার্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প ঘোষণা করেছে। অনেক প্রতীক্ষার পর ২০২৪ সালে প্রশাসন টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
জেলা যুব সমাজ, যাদের এতদিন কাজের জন্যে বাইরে যেতে হতো, তারা এই উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছে। তাদের আশা, শিল্প পার্ক চালু হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়বে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি হলে স্থানীয় অর্থনীতিও আরো উন্নত হবে।
আরও পড়ুন: ই-শ্রম কার্ড থাকলেই প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র, এভাবে আবেদন করুন
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
প্রথম ধাপে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গোর্থ সেন্টারের পরিকাঠামগত কাজ শেষ করার উদ্দেশ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরে শিল্প সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সেখানে উৎপাদন শুরু করা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের শিল্প পার্ক প্রকল্পটি কেবল জেলার উন্নতি নয়, বরং রাজ্য সরকারের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে।