৭ ফেব্রুয়ারি থেকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার কর্মচারীদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য নতুন নিয়ম চালু করবে। এখনও পর্যন্ত, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য দিল্লির জাতীয় ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হত। কিন্তু এখন, এই তথ্য রাজ্যের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে, যাকে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ডেটা সেন্টার।
কেন এই পরিবর্তন ঘটছে?
পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করে কৃষকবন্ধু, বাংলার আবাস যোজনা এবং কন্যাশ্রীর মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রকল্প পরিচালনা করে। রাজ্য কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্পটিও রাজ্য সরকার দ্বারা অর্থায়িত হয়। এই নতুন নিয়মগুলির মাধ্যমে, সরকার এই সমস্ত প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত ডেটা রাজ্যের মধ্যেই রাখতে চায়। এর ফলে রাজ্যের জন্য তথ্য পরিচালনা এবং সুরক্ষা করা সহজ হবে।
৭ ফেব্রুয়ারি কী হবে?
৭ ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে দুই ঘন্টার জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প পোর্টাল ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ থাকবে না। এর অর্থ হল, এই সময়ের মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা কোনও তথ্য স্থানান্তরের জন্য পোর্টাল ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে, অর্থ বিভাগ জানিয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে কর্মীরা তাঁদের তালিকাভুক্তির শংসাপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
এই সময়ের মধ্যে কি কোনও সমস্যা হবে?
রাজ্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে যাতে পোর্টালটি বন্ধ থাকাকালীন দুই ঘন্টার মধ্যে স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হন। চিকিৎসা পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রস্তুত করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, সুবিধাভোগী এবং চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলি এই সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্তির শংসাপত্রগুলি বা এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেট দেখতে এবং অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবে। তথ্য স্থানান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত থাকলেও হাসপাতালগুলি কোনও সমস্যা ছাড়াই রোগীদের ছেড়ে দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: আবাস যোজনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা, দুর্নীতি এড়াতে এই পদক্ষেপ?
দুই ঘন্টা পরে কী হবে?
দুই ঘন্টার সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে, স্বাস্থ্য প্রকল্পের পোর্টালটি আবার সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে। জাতীয় ডেটা সেন্টারে প্রয়োজনীয় ব্যাকআপ বজায় রাখার সাথে সাথে সমস্ত ডেটা নিরাপদে নতুন রাজ্য ডেটা সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হবে।