১০ টাকার কয়েন ছাড়া মানিব্যাগ অসম্পূর্ণ। ভারতীয় মুদ্রার একটি অবিচ্ছেদ্য পার্ট। আমরা সকলেই এটি বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ব্যবহার করি। যদিও আজকাল বেশিরভাগ লেনদেন অনলাইনে হয়, তবুও অনেকেই পণ্য ও পরিষেবা কেনার জন্য নগদ অর্থ ব্যবহার করেন।
তবে বেশ কয়েকজনের জন্য এটি সমস্যার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আজকাল দেখা যাচ্ছে, বিক্রেতারা বা অটোচালকরা এটি নিতে চাইছেন না।
১০ টাকার কয়েন সম্পর্কে আরবিআইয়ের নিয়ম
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ১০ টাকার মুদ্রা বৈধ, অর্থাৎ এটি অন্যান্য কয়েন এবং নোটের মতোই একটি বৈধ অর্থপ্রদানের মাধ্যম। তা সত্ত্বেও, কিছু লোক ১০ টাকার মুদ্রা ব্যবহার করার সময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি পদক্ষেপ
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, সরকার ১০ টাকার কয়েন সর্বত্র গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ করছে। যদি কোনও বিক্রেতা বা গাড়ির চালক মুদ্রা নিতে না চান, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আইনি মামলাও দায়ের করা যেতে পারে। সরকার ১০ টাকার কয়েনের বৈধতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে।
১৯ বছর আগে আরবিআই কর্তৃক ১০ টাকার মুদ্রা চালু করা হয়েছিল, কিন্তু অনেকেই এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেন না যে এটি বৈধ নাকি। এই সমস্যা সমাধানে সাহায্য করার জন্য, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মতো প্রধান সরকারি ব্যাঙ্কগুলি সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এই কর্মসূচিগুলির লক্ষ্য হল জনগণকে বোঝানো যে ১০ টাকার মুদ্রা বাজারে অন্যান্য মুদ্রা এবং নোটের মতোই বৈধ।
কয়েন না নিলে কী করবেন?
এমন পরিস্থিতিতে, যদি কেউ কয়েন নিতে না চান, তাহলে এটি আইনবিরোধী এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সরকার এবং আরবিআইয়ের মূল লক্ষ্য হল জনগণকে নিশ্চিত করা যে মুদ্রাটি বৈধ এবং এটি ব্যবহার বা গ্রহণে কোনও সমস্যা নেই।
তাই, যদি আপনি এমন কাউকে দেখতে পান যিনি ১০ টাকার মুদ্রা নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে আপনি এখন নিশ্চিত হতে পারেন যে এটি কেবল আইনিই নয় বরং কয়েন হিসেবে এটি ব্যবহার করার আপনার অধিকারও।