সরকারি কর্মীদের জন্য দারুন একটি সুখবর। বহুদিন ধরে ডিএ বৃদ্ধির অপেক্ষায় থাকা কর্মীদের জন্য এবার কেন্দ্র সরকারের তরফে আরো একটি বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এবার সরকারি কর্মীরা ৪২ দিনের অতিরিক্ত ছুটি পাবেন। তবে এই ছুটি সবার জন্য নয়। নির্দিষ্ট একটি শর্ত পূরণ করলেই এই ছুটি পাওয়া যাবে।
কাদের জন্য প্রযোজ্য এই ছুটি?
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা অঙ্গ দান করবেন তারাই শুধুমাত্র 42 দিনের অতিরিক্ত ছুটির জন্য যোগ্য হবেন। এই ছুটি ক্যাজুয়াল লিভ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এটি শুধুমাত্র অঙ্গ দানকারীদের উৎসাহিত করার জন্যই প্রযোজ্য।
কীভাবে ছুটি পাওয়া যাবে?
অঙ্গ দানের জন্য এই ছুটি পেতে হলে সরকারি কর্মীকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল-
- অঙ্গ দানের জন্য পূর্ব অনুমোদন- অঙ্গ দানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবশ্যই লিখিতভাবে জানাতে হবে।
- চিকিৎসকের প্রমাণপত্র- অঙ্গ দানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে চিকিৎসকের পক্ষ থেকে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে এবং সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিতে হবে।
- অস্ত্রোপচারের আগে ও পরে ছুটি- সাধারণত অস্ত্রোপচারের পরে টানা সাত দিনের ছুটি অনুমোদিত হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের আগে থেকে ছুটি শুরু করা যেতে পারে।
ছুটির শর্তাবলী
এই ৪২ দিনের অতিরিক্ত ছুটির জন্যে বিশেষ কিছু নিয়ম চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল-
- কর্মীরা চাইলে টানা ৪২ দিনের ছুটি নিতে পারেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ছুটি ভাগে ভাগে নেওয়া যেতে পারে।
- এই ছুটি শুধুমাত্র অঙ্গ দানের জন্যই অনুমোদিত হবে। অন্য কোন কাজে এই ছুটি ব্যবহার করা যাবে না।
কোন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাতে হবে?
সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি যে কোন হাসপাতাল অথবা সেন্ট্রাল গভমেন্ট হেলথ স্কিমের অধীনস্থ বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করাতে হবে। যদি নির্ধারিত হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা সম্ভব না হয়, তবে অন্য যেকোন বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে এই ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে।
সরকারের মূল উদ্দেশ্য কী?
কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গ দানকে আরো বেশি পরিমাণে উৎসাহিত করতেই এই বিশেষ ছুটির ব্যবস্থা করেছে। ২০২৩ সাল থেকে সরকার অঙ্গ দানের প্রচার চালাচ্ছে এবং এটি সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ বলায় যায়।
সরকারের এই উদ্যোগ সমাজে অঙ্গ দান সম্পর্কে আরও সচেতনতা বাড়াবে। সরকারি কর্মীদের জন্য এই ছুটি শুধুমাত্র মানবকল্যাণের জন্যই নয়, বরং অঙ্গ দানকে আরো জনপ্রিয় করে তোলার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। তাই আপনি যদি সরকারি কর্মচারী হন এবং অঙ্গ দানে আগ্রহী হন, তবে এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়।