বড়দিনের আগে সাধারণ মানুষের জন্য দারুন সুখবর। ভোজ্য তেলের বাজারে দেখা গিয়েছে বড়সড় মূল্যপতন। সর্ষে, চিনাবাদাম, সয়াবিন, পাম অয়েলসহ একাধিক তেলের দাম উল্লেখযোগ্য হবে কমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় বাজারের পরিবর্তনের কারণে এই মূল্যপতন হয়েছে।
ভোজ্য তেলের দাম কমার কারণ
বিশেষজ্ঞরা ভোজ্য তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমার যে সমস্ত কারণগুলি উল্লেখ করেছে সেগুলি হল-
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
মালয়েশিয়া এবং শিকাগো এক্সচেঞ্জে ভোজ্য তেলের দামে ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গেছে। ফিউচার ট্রেডিংয়ে তুলা বীজ এবং অন্যান্য তৈল বীজের দামেও দুর্বলতা দেখা গেছে। এর ফলে এই তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে।
তুলা ব্রীজের দাম হ্রাস
তুলার ফসলের আগমন এবং তুলা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের নীচে বিক্রির কারণে তুলা বীজের দাম ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। তুলা বীজ থেকে তৈরি কেকের দাম পতন ঘটেছে, যা ভোজ্য তেলের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে।
ফিউচার মার্কেটে স্টকের অভাব
মার্কেটে পর্যাপ্ত স্টক না থাকায় ফিউচার মার্কেটের দাম আরও হ্রাস পেয়েছে। এর কারণেও ভোজ্য তেলের দাম কমে গিয়েছে।
বর্তমান বাজারে তেলের দাম
বাজারে বিভিন্ন তেলের সর্বশেষ দাম নিচের উল্লেখ করা হল-
তেল | বাজার মূল্য |
সর্ষের তৈলবীজ | প্রতি কুইন্টাল ৬,৪৫০/- থেকে ৬,৫০০/- টাকা |
চিনাবাদাম তেল | প্রতি টিন ২,১৫০/- থেকে ২,৪৫০/- টাকা |
সর্ষের তেল | প্রতি কুইন্টাল ১৩,৪৫০/- টাকা |
সয়াবিন তেল (মিল ডেলিভারি, দিল্লি) | প্রতি কুইন্টাল ১৩,০০০/- টাকা |
পামোলিন তেল | ১৩,০০০/- টাকা (GST ছাড়া) |
সয়াবিন দানা | ৪,২৬৫/- থেকে ৪,৩১৫/- টাকা |
তুলা উৎপাদনে সংকট এবং তার প্রভাব
তুলা উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তুলা বীজ এবং তুলা জাতীয় পণ্যের দামে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কটন অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তুলার উৎপাদনে ঘাটতি দেশের অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলছে। তুলার দাম কমে যাওয়ায় ভুট্টা এবং অন্যান্য তৈলবীজের দামে প্রভাব পড়ছে।
সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব
তবে রান্নার তেলের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের রান্নার খরচ এবার কিছুটা হলেও কমবে। বড়দিন এবং নতুন বছরের সময় ভোজ্য তেলের দাম হ্রাস পাওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের পকেটের উপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে এটা বলাই যায়।
আরও পড়ুন: বড়দিনেই সরকারি কর্মীদের সুখবর দিল রাজ্য সরকার, পুনরায় সবার ৩% DA বাড়ানো হল
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বাজারের এই পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদী কিনা তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে সাময়িকভাবে সাধারণ মানুষ এই তেলের দাম হ্রাসের সুবিধা নিতে পারেন।
রান্নার তেলের দাম কমায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি দেখা গিয়েছে। বাজারে এই পতনের জন্য আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় নানারকম কারণ দায়ী রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে দাম কিভাবে পরিবর্তিত হয় তার দিকে নজর রাখতে হবে।