পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে এবার বড়সড় পদক্ষেপ। উপভোক্তাদের প্রথম কিস্তির টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বা ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের মধ্যে সমস্ত উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য
রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ আবাসন প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল বাংলার বাড়ি প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। এই অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে সম্পূর্ণ রাজ্যের কোষাগার থেকে।
উপভোক্তাদের একাউন্টে পৌঁছে গেছে টাকা
সরকারি এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ৮ লক্ষ ২২ হাজারের বেশি উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গেছেন। তবে কিছু উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা পৌঁছানো এখনো বাকি। তাদের ক্ষেত্রে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা পাঠানোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ অনুযায়ী নজরদারি পদ্ধতি
রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর পর বাড়ি নির্মাণের কাজে বিশেষভাবে নজরদারি চালানো হবে। চারটি ধাপে এই কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই চারটি ধাপ হল-
- কাজ শুরুতে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
- বাড়ি নির্মাণের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে হবে।
- ছাদ নির্মাণ পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
- সম্পূর্ণ বাড়ি তৈরি করতে হবে।
এমনকি ব্লক স্তরের আধিকারিকদের এই কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।
আরও পড়ুনঃ TRAI-এর নতুন গাইডলাইন, মোবাইলে ২ টো সিম কার্ড থাকলেই জানুন
ডেডলাইনের গুরুত্ব
রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্ধারিত সময়সীমা মেনে কাজ সম্পন্ন করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে সমস্ত উপভোক্তা দ্রুত তাদের প্রাপ্য অর্থ পাবেন এবং প্রকল্পের কাজ আরো তাড়াতাড়ি কার্যকর করা সম্পন্ন হবে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে সরকারের এই কঠোর সময়সীমা নির্ধারণ সাধারণ মানুষের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। উপভোক্তদের প্রাপ্য অর্থ দ্রুত পৌঁছানোর পাশাপাশি নির্মাণের কাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।