রেশন বিতরণে দুর্নীতির উদ্বেগ! কয়েক মাস ধরে, উচ্চপদস্থ নেতা এবং রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি হওয়ার অভিযোগ এবং ভুল ওজনের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত। জনগণকে সঠিক পরিমাণে রেশন দেওয়া হচ্ছে না এমনটাও অভিযোগ বর্তমান।
রেশন নিয়ে নতুন নতুন অভিযোগ
কিছু কিছু এলাকায়, মানুষ আবার ভুল ওজন মেশিন ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, সরকার রেশন ডিলারদের রেশনের জিনিসপত্র সঠিকভাবে ওজন করার জন্য POS মেশিন (পয়েন্ট অফ সেল মেশিন) সরবরাহ করেছিল, কিন্তু কিছু ডিলার এই মেশিনগুলি বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ স্কেল ব্যবহার করছেন।
আরও খারাপ বিষয় হল, কিছু জায়গায়, ডিলারদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী ওজন যন্ত্র হিসেবে ইট, বালি এবং পাথর ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে, যার ফলে জালিয়াতির সন্দেহ আরও বেড়েছে।
আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যা প্রশাসনকে নাড়া দিয়েছে। রেশন ডিলাররা রেশনের জিনিসপত্র ওজন করার জন্য ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করছেন বলে জানা গিয়েছে, যার ফলে খাদ্য বিভাগ হস্তক্ষেপ করেছে। এর পরে, কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন যে তাঁরা যে কোনও দুর্নীতি ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করবেন এবং রেশন ডিলাররা সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করছেন তা নিশ্চিত করবেন।
রেশনে দুর্নীতির সম্ভাবনা কমাতে কী ভাবছে রাজ্য?
(১) এই পরিস্থিতিতে, বাংলা সরকার রেশন ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনার জন্য উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে।
(২) খাদ্য বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের অধীনে এখন সপ্তাহে দুইবার রেশন বিতরণ করা হবে।
(৩) জালিয়াতির বিষয়টি আরও সমাধানের জন্য, সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এই ৫ টাকার কয়েন আর পকেটে রাখতে পারবেন না, আপনার কাছে ১ টা থাকলে কী করবেন দেখুন
খাদ্য বিভাগ বিতরণ প্রক্রিয়ার উপর কড়া নজর রাখবে এবং যদি কোনও রেশন ডিলার অবৈধভাবে রেশন সামগ্রী বিক্রি করে বা ভুল ওজনের যন্ত্র ব্যবহার করে প্রতারণা করেন বলে প্রমাণিত হয়, তাহলেও কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এরই সঙ্গে রেশন দোকানগুলিতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগ তদন্ত করাও হতে পারে।
অতএব, সরকার আশ্বাস দিয়েছে যে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং কোনও অনিয়ম পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে সরকার।