জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল আবাস যোজনার টাকা, বড়দিনের আগেই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকছে

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত অর্থ জেলায় জেলায় পৌঁছে গেছে। রাজ্যের অর্থ দপ্তর প্রতিটি জেলার উপভোক্তদের সংখ্যার ভিত্তিতে এই টাকা বরাদ্দ করেছে। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে এই অর্থ উপভোক্তদের ব্যাংক একাউন্টে ঠিক কবে নাগাদ জমা পড়বে?

প্রকল্পের গুরুত্ব এবং প্রেক্ষাপট

রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ পরিবারের ৫০ লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত করা হবে। রাজ্যের নাগরিকদের মাথার উপর স্থায়ী ছাদ তৈরি করে দেওয়ার স্বপ্ন এবার সফল হতে চলেছে। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ হবে অর্থায়ন করছে, যা দেশের অন্য কোন রাজ্যে দেখা যায় না।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ অর্থায়নে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প চালু ছিল। সেখানে কেন্দ্র ৬০% এবং রাজ্য ৪০% অর্থ প্রদান করত। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে কেন্দ্র এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের কোষাগারের উপর নিয়ে নেন।

আবাস যোজনা প্রকল্পের নতুন উপভোক্তা

প্রথম থেকে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের আয়তায় ১১ লক্ষ ৩২ হাজার পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা ছিল। তবে নতুন করে জমা পড়া বিপুল আবেদনের ভিত্তিতে এই সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

টাকা বিতরণের সম্ভাব্য সময়সীমা 

পশ্চিমবঙ্গের অর্থ দপ্তর ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেতের। তবে অনুমান করা হচ্ছে বড়দিনের আগেই আবাস যোজনা প্রকল্পের অর্থ উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাবে। তবে এর আগে মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

যেহেতু এই প্রকল্পে ১০০% অর্থ রাজ্য সরকার দিচ্ছে, তাই এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে “বাংলার বাড়ি প্রকল্প।” আগের মতো আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্প হিসেবে এটি চলবে না। 

আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় কেন?

প্রকল্পের স্বচ্ছতা এবং চ্যালেঞ্জ 

বাংলার বাড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যেমন বড় সাফল্যের বিষয়, ঠিক তেমনই এটি সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিকভাবে অর্থ বন্টন করা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি সর্বস্তরে দুর্নীতি রোধ করা সবই এই প্রকল্পের সাফল্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী।

বাংলার বাড়ি প্রকল্প রাজ্যের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন দিশা। এটি শুধুমাত্র প্রান্তিক মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করবে না, বরং রাজ্যের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ভিত্তি আরো মজবুত করবে। বড়দিনের আগেই যদি উপভোক্তারা এই প্রকল্পের অর্থ সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পান, তাহলে এটি রাজ্যের জন্য একটি বড় সাফল্য হয়ে উঠবে। 

Leave a Comment