১০০০ টাকার বদলে মাসে ২১০০ টাকা মিলবে, মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা নিয়ে বড় খবর

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রাজ্যের মহিলাদের জন্য দারুন সুখবর। দিল্লিতে মহিলাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা শুরু করার ঘোষণা করলেন আম আদমি পার্টি (AAP)-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনের পর মহিলাদের মাসিক ২১০০/- টাকা ভাতা দেওয়া হবে। আপাতত এখন প্রতি মাসে ১০০০/- টাকা করে দেওয়া হবে। চলুন আজকের এই প্রতিবেদনে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আপডেট জেনে নিই।

কারা এই যোজনার সুবিধা পাবেন?

এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র দিল্লির সরকারিভাবে নিবন্ধিত ভোটার মহিলারাই পাবেন। তবে সেই সমস্ত মহিলারাই এই প্রকল্পের আয়তায় আসবেন, যাদের বার্ষিক আয় 2.5 লক্ষ টাকার কম। সরকারের দাবি সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের মহিলারাই যেন এই প্রকল্পের সুবিধা পায়। এই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। 

মহিলা সম্মান যোজনার যোগ্যতা

এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আগ্রহী মহিলাকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল- 

  • বার্ষিক আয়- আবেদনকারী মহিলার বার্ষিক আয় 2.5 লক্ষ টাকার কম হতে হবে। 
  • বয়স সীমা- আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই নূন্যতম 18 বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হতে হবে।
  • যে সমস্ত মহিলার নামে চার চাকার গাড়ি রয়েছে তারা এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন না। 
  • যারা ৬০ বছরের বেশি বয়সী তারা ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকারের পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন। তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। 

আবেদন প্রক্রিয়া 

অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৩ই ডিসেম্বর থেকে। প্রাথমিক পর্যায়ে কোনরকম অনলাইন পোর্টাল চালু করা হচ্ছে না। সরকারি কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য মহিলাদের নাম নথিভুক্ত করবেন। তাই আলাদাভাবে এখানে আবেদন করার কোন ঝামেলা নেই। 

বাজেট ও বরাদ্দ

২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনার জন্য ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই যোজনার মাধ্যমে দিল্লির মহিলাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার পাশাপাশি তাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করা হবে এবং তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা হবে। 

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আরও পড়ুন: মাসে ১৫০০ টাকা, লক্ষীর ভান্ডারের মতোই দেবে সরকার, বেকার হলেই আবেদন করুন

কেজরিওয়াল বলেন, “এই প্রকল্পটি কোন দয়া নয়, বরং আমাদের সৌভাগ্য। মহিলারা পরিবার চালান, সন্তানদের সঠিক মূল্যবোধ সেখান। সমাজে তাদের ভূমিকা অসীম। তাদের একটু সাহায্য করতে পারলে সেটাই আমাদের সৌভাগ্যের বিষয়।” 

তাই আশা করা যাচ্ছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দিল্লি সরকার অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করে তুলবে।

Leave a Comment