এক কোটি বাড়ি আলোকিত করার নতুন উদ্যোগ মোদীর। সারা দেশে দ্রুত গতিতে কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল 2027 সালের মধ্যে 1 কোটি বাড়িতে ছাদে সোলার প্যানেল বসানো।
এ পর্যন্ত 1.45 কোটি রেজিস্ট্রেশন এবং 6.34 লাখ ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। এই স্কিমটি কেবল একাধিক বাড়ির বিদ্যুতের চাহিদাই পূরণ করছে না, মানুষের বিদ্যুৎ বিলও কমিয়ে দিচ্ছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর ফ্রি স্কিম।
ভর্তুকি এবং সোলার প্যানেল ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া
সংসদে তথ্য দেওয়ার সময়, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক বলেছিলেন যে 3.66 লক্ষ আবেদনকারীকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এই ভর্তুকি 15 থেকে 21 দিনের মধ্যে সরাসরি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হচ্ছে। সরকার এ জন্য একটি জাতীয় পোর্টাল তৈরি করেছে, যেখান থেকে রেজিস্ট্রেশন ও আবেদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সহজ করা হয়েছে।
রাজ্যগুলিতে সৌর শক্তির সুযোগ বাড়ছে
গুজরাট এই প্রকল্পে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, যেখানে 2,86,545টি সোলার প্যানেল ইনস্টল করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র 1,26,344 ইনস্টলেশনের সাথে দ্বিতীয় স্থানে এবং উত্তর প্রদেশ 53,423 ইনস্টলেশনের সাথে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যেও এই প্রকল্পের অধীনে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে, যা দেশের শক্তি সেক্টরে বিপ্লব আনছে।
300 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি
সরকারের দাবি, এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে 300 ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। 75,021 কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পটি সারা দেশে বাড়ি আলোকিত করা এবং এনার্জির স্বনির্ভরতা বৃদ্ধির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক
এই প্রকল্পটি শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ই করছে না, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের স্থানীয় সংস্থা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে এই প্রকল্পের প্রচারে উৎসাহিত করা হচ্ছে৷ এর অধীনে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
আপনিও কীভাবে আবেদন করবেন?
(১) প্রথমে নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে নিজের নাম, রাজ্য নথিভুক্ত করে, আপনি কোথা থেকে বিদ্যুৎ পান সেটিও লিখুন।
(২) নিজের কনজিউমার নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল দিতে হবে।
(৩) মোবাইল নম্বর, কনজিউমার নম্বর দিয়ে লগ ইন করে নির্দিষ্ট ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
(৪) এবার পূরণ করা ফর্মের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করুন।
(৫) পোর্টাল থেকে আপনার নামে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
(৬) এবার নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং বাতিল করা চেকের ছবি পোর্টালে আপলোড করলেই কাজ শেষ।
(৭) এক মাসের জন্য প্রয়োজনীয় সাবসিটি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: মাসে ১০০০ টাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই এই প্রকল্পেও মিলছে, কারা পাচ্ছে জানেন কী?
স্বনির্ভর ভারতের সৌর বিপ্লব
PM রুফটপ সোলার স্কিমের মূল উদ্দেশ্য হল সাশ্রয়ী মূল্যের এবং ক্লিন এনার্জি প্রদান করা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত বিশাল ভর্তুকি এবং রেয়াতি ব্যাঙ্ক ঋণ সুবিধা এটিকে সাধারণ মানুষের কাছে উপলব্ধ করেছে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন শুধুমাত্র পরিবেশের জন্যই উপকৃত হচ্ছে না, বরং বিদ্যুৎ খরচও কমিয়ে দিচ্ছে।