পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের প্রতি মাসে ভাতা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পে ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০/- টাকা এবং তপশিলি সম্প্রদায়ের মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০/- টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
তবে এই প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করে থাকে। এই প্রকল্পটি হলে বিধবা ভাতা প্রকল্প, যা রাজ্যের বিধবা মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে সাহায্য করে।
বিধবা ভাতা প্রকল্পের উদ্দেশ্য
বিধবা ভাতা প্রকল্পের আয়তায় রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা, যারা অন্তত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন কিন্তু তাদের স্বামী মারা গেছে, সেই সমস্ত মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০/- টাকা করে আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল-
- বিধবা মহিলাদের আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলা,
- বিধবা মহিলাদের জীবনযাত্রার মানকে আরো উন্নত করা,
- পরিবারের আর্থিক চাহিদা মেটাতে সহায়তা প্রদান করা।
আবেদনের জন্য যোগ্যতা
বিধবা ভাতা প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আগ্রহী মহিলাকে কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল-
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে,
- আবেদনকারীর স্বামীর মৃত্যুর সঠিক শংসাপত্র থাকতে হবে। তাহলেই আবেদন করে যাবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
বিধবা ভাতা প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন সেগুলি হল-
- স্বামীর মৃত্যুর শংসাপত্র,
- আবেদনকারীর পরিচয়,
- পত্র হিসেবে ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড,
- পরিবারের আয়ের শংসাপত্র,
- রেশন কার্ড।
কিভাবে আবেদন করবেন?
বিধবা ভাতা প্রকল্পে অফলাইন বা অনলাইন উভয় পদ্ধতিতে আবেদন করা যায়। আমরা দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করছি-
অফলাইনে আবেদন
অফলাইনে আবেদন করার জন্য আপনি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন করতে পারবেন। ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের জন্য বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে সরাসরি এই প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
অনলাইনে আবেদন
অফলাইনে যারা আবেদন করতে পারবেন না তাদেরকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে এই প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন:
বিধবা ভাতা প্রকল্পের গুরুত্ব
রাজ্য সরকারের বিধবা ভাতা প্রকল্পের মাধ্যমে বিধবা মহিলারা প্রতি মাসে একটি আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে মহিলাদের জীবনযাত্রার স্থিতিশীলতা এবং আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের নাগরিকদের জন্য নানা রকম প্রকল্প চালু করে আর্থিক সহায়তা এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করে। তাই বিধবা ভাতা প্রকল্পের মতো উদ্যোগ মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে ও তাদের সমাজে আরো ভূমিকা শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।