পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে আরো উন্নত করতে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কৃষি থেকে শিল্প সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজ্য এবার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শিল্পের বিকাশ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চালু হতে চলেছে “শিল্পের সমাধানে” প্রকল্প, যা দুয়ারে সরকার শিবিরের মত করেই পরিচালিত হবে।
কবে থেকে শুরু হবে এই প্রকল্প?
২ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ব্লক এবং পৌরসভা এলাকায় এই প্রকল্পের অধীনে বিশেষ শিবির আয়োজন করা হবে। ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে এই শিবিরগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
রাজ্যের শিল্প ও বস্ত্রদপ্তর এই শিবিরগুলির আয়োজন করেছে। উপভোক্তাদের জন্য মোট ১২টি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দেওয়া হবে। এতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে।
কি কি সুবিধা মিলবে এই শিবিরে?
“শিল্পের সমাধানে” শিবিরে যে সমস্ত সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে সেগুলি হল-
- ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সরকারি ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা যাবে,
- কারিগর ও বয়ন শিল্পের জন্য সহায়ক সরঞ্জাম পাওয়ার আবেদন করা যাবে,
- শিল্প উদ্যোগের ক্ষেত্রে যেকোন সমস্যার সমাধান করা যাবে,
- সরকারি প্রকল্প থেকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার আবেদন করা যাবে এই শিবিরের মাধ্যমে,
- হস্তশিল্পীদের মৃত্যুকালীন আর্থিক সুবিধার জন্য আবেদন করা যাবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক
সম্প্রতি এই প্রকল্প নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের সচিব রাজেশ পান্ডে সহ অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা। এই বৈঠকে “শিল্পের সমাধান” শিবিরের সঠিক দিন চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফ্রিতে QR কোড লাগানো প্যান কার্ড সবাই পাবে, এইভাবে ইমেল রেডি করে রাখুন
MSME শিল্পের উদযাপন
এই উদ্যোগের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডিসেম্বর মাসকে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের মাস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল-
- শহর ও গ্রামের হস্তশিল্প, কারিগর এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন করা,
- সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা,
- কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
“শিল্পের সমাধানে” প্রকল্প শুধুমাত্র রাজ্যের শিল্পোন্নয়নে সাহায্য করবে না, বরং এই প্রকল্প কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র শিল্পবিকাশের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরও উন্নত হবে এবং সবাই কাজের সুযোগ পাবে।