পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সুখবর আসছে! রাজ্য সরকার পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য একটি নতুন ট্রেনিং কর্মসূচির প্রস্তাব করেছে। মূলত ভবানী ভবন এই ভলান্টিয়ারদের তিন মাসের ট্রেনিং দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।
রাজ্য সরকার প্রায় 1.15 লক্ষ নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের ট্রেনিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই তাদের ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য স্তরে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
প্রশিক্ষণে আইন-শৃঙ্খলার উপর ফোকাস করা হবে, স্বেচ্ছাসেবকদের শেখানো হবে কীভাবে জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় এবং জনগণের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। উপরন্তু, জরুরীকালীন সময়ে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে ট্রেনিং এই প্রোগ্রামের একটি মূল অংশ হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে যে সিভিক ভলান্টিয়াররা জেলা স্তরে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বা কমিশনারেট এলাকার তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং গ্রহণ করবে। সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারে। যদিও রাজ্য সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ এই মুহূর্তে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই, তাই পরিস্থিতির উন্নতি হলেই অনুমোদন মিলতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। আসলে আদালত হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো সংবেদনশীল এলাকায় ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। কারণ আরজি কর হাসপাতালের মামলার প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, এবং সিবিআই চার্জশিটেও অপরাধে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে।
ফলস্বরূপ, রাজ্য এখন সংবেদনশীল ভূমিকার পরিবর্তে নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের জন্য নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের মোতায়েন করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, ৫ লক্ষ নতুন মহিলাকে এবার টাকা দেবে সরকার
আমরা সবাই জানি, সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এটি সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য সরকারকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে কতজন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন এবং কীভাবে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই উদ্বেগগুলি সমাধানের জন্য একটি হলফনামাও জমা দেওয়া হয়েছে।