পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্ন, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন নিয়ম জারি করেছে। এই নতুন নিয়ম অনেক কর্মীদের মধ্যেই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। পদোন্নতির জন্য সরকার এখন কর্মচারীদের থেকে একটি সততার সার্টিফিকেট বা ইন্টিগ্রিটি সার্টিফিকেট চাইছে।
এই শংসাপত্র ছাড়া, কর্মচারীরা কর্মজীবনে অগ্রসর হতে পারবেন না। দেওয়া হবে না প্রমোশন। সরকারি সুখের চাকরির ক্ষেত্রে বড় কড়াকড়ি করে বসল নবান্ন।
ইন্টিগ্রিটি বা সততার সার্টিফিকেট কী?
এই সততা শংসাপত্র বা ইন্টিগ্রিটি সার্টিফিকেট, যা ভিজিল্যান্স ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নামেও পরিচিত। এটি নিশ্চিত করে যে একজন কর্মচারী তাদের কাজে সৎ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ।
এই সার্টিফিকেট বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে, একজন কর্মচারী সময়মতো পৌঁছান কিনা, দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন কিনা এবং কাজের জন্য ঘুষ নেওয়া বা সুবিধা নেওয়ার মতো কোনও অনৈতিক কাজ এড়িয়ে চলেন কিনা। সবেরই প্রমাণ দেয় শংসাপত্রটি। এককথায়, কর্মচারীর সামগ্রিক আচরণ এবং পেশাদারিত্বও জানায় ইন্টিগ্রিটি সার্টিফিকেট।
কোন কর্মীদের এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে?
অফিসার, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মচারী সহ রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের অবশ্যই এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। এটি এমনকি কর্মচারীর পরিষেবা লগ বইতেও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি বছর এই সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। আসলে, অনেক কর্মচারী এতদিন সঠিকভাবে নিয়ম অনুসরণ করছিলেন না, যে কারণে সরকার এই নির্দেশিকা জারি করেছে।
এই সার্টিফিকেট জমা না দিলে কী হবে?
যে সকল কর্মচারী সততা শংসাপত্র জমা দিতে পারবেন না, তাঁরা পদোন্নতির জন্য যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ, শুধুমাত্র যারা শৃঙ্খলা, দায়িত্ব এবং সততার উচ্চ মান বজায় রাখেন, তাঁরাই তাঁদের কর্মজীবনে অগ্রসর হতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ঢুকছে না লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা, এবার বড় কথা জানালো রাজ্য সরকার
কেন এই পরিবর্তন?
সরকার এই ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এটি নিশ্চিত করতে চায় যে সমস্ত কর্মচারী একটি শক্তিশালী আচরণবিধি অনুসরণ করেন। যারা এই মানগুলি পূরণ করেন না, তাঁদের প্রমোশন ব্লক করাই নতুন নির্দেশের উদ্দেশ্য। এটির আরও লক্ষ্য হল একটি সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী বজায় রাখা, কর্মীদের আরও দায়িত্বশীল এবং পেশাদার হতে উৎসাহিত করা।