পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার, তার নিজস্ব কোষাগার থেকে অর্থ ব্যবহার করে আবাস যোজনার (হাউজিং স্কিম) টাকা দেওয়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, যাঁরা যাঁরা আবাসন প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন, তাঁদের জন্য বড় ঘোষণা।
আবাস প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা
স্কিমের স্বাভাবিক নিয়মের অধীনে, কেন্দ্রীয় সরকার তহবিলের 60% অবদান রাখার কথা, আর বাকি 40% রাজ্য সরকার কভার করে। তবে, গত দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার আবাসন প্রকল্পের জন্য টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
তাই রাজ্য সরকার প্রকল্পটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কথা ছিল, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা ছাড়া হবে। আর যেহেতু ডিসেম্বর মাস আগত, তাই রাজ্য এখন তার নিজস্ব সম্পদ থেকে আবাসন প্রকল্পের প্রথম কিস্তির জন্য তহবিলের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
এদিকে, রাজ্যের অর্থ বিভাগ ক্রমবর্ধমান আর্থিক বোঝা নিয়ে চিন্তিত, কারণ রাজ্যের তহবিল দিয়ে পুরো প্রকল্পটি কভার করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রথম কিস্তির অর্থ পরিশোধের জন্য, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার উল্লেখ করেছেন যে রাজ্যের 40% ভাগ ইতিমধ্যেই বর্তমান বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম কিস্তির জন্য অধিদফতরের বাজেট থেকে টাকা দেওয়া যেতে পারে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
টাকা তাহলে ডিসেম্বর মাসে আসবে তো?
কেন্দ্রীয় সরকার এই আবাসন প্রকল্পের জন্য 2022 সালের নভেম্বরে 11 লক্ষ সুবিধাভোগীর তালিকা অনুমোদন করেছিল। প্রতিটি সুবিধাভোগী বাড়ি নির্মাণের জন্য ₹1.2 লাখ পাবেন। প্রকল্পের মোট ব্যয় অনুমান করা হয়েছে ₹13,200 কোটি (11 লাখ সুবিধাভোগীদের জন্য)। এখানে কেন্দ্রীয় সরকারের ₹7,920 কোটি (60%) অবদান রাখার কথা ছিল।
আর রাজ্য সরকারের প্রত্যাশিত অবদান হল ₹5,280 কোটি (40%)। আর যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন বিলম্বিত হয়েছে, তাই রাজ্য এখন তার নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করবে প্রথম কিস্তির জন্। অর্থ্যাৎ ₹5,280 কোটি টাকা প্রথম কিস্তির কাজে লাগানো ডিসেম্বরেই শুরু হবে।
তাহলে পরবর্তী কিস্তি কীভাবে বরাদ্দ করবে রাজ্য?
পরবর্তী দু’ টি কিস্তির জন্য, রাজ্যকে বর্তমান আর্থিক বছরের মধ্যে অতিরিক্ত ₹1,320 কোটির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার এই অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন বিকল্পও অনুসন্ধান করছে, যার মধ্যে অন্যান্য সেক্টর থেকে টাকার ব্যবস্থা করা, পঞ্চায়েত অফিসের সংস্থান ব্যবহার করা বা বাজার থেকে ধার নেওয়ার ব্যাপারও রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর নামে অ্যাকাউন্ট খুলুন আর পান কোটি টাকা রিটার্ন! মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেই পাবেন
পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে?
প্রথম কিস্তির জন্য 60% না 50% দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত শীঘ্রই নেওয়া হবে।