“তরুনের স্বপ্ন” প্রকল্পের আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সহায়তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাব কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই আর্থিক সহায়তা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন জায়গায়।
এই অভিযোগগুলি প্রশাসনের দৃষ্টিতে এসেছে। এই সমস্ত অনিয়মগুলির রুখতে এবং সহায়তার সঠিক বন্টন নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার আগামী বছর থেকে আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছে।
ট্যাব কেনার অর্থে অনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ
ট্যাব কেনার অর্থ প্রদানে অনিয়মের বিষয়টি নজরে আসার পর মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ এই বিষয়ে নবান্ন শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, আগামী বছর থেকে ট্যাব কেনার অর্থ বিতরণের সময় আধার নাম্বার সংযুক্তিকরণ করা হবে। শিক্ষা দপ্তরকে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা করার নির্দেশে জারি করা হয়েছে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মত নতুন উদ্যোগ
“তরুণের স্বপ্ন” প্রকল্পে আধার সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে এই বন্টন প্রক্রিয়াকে আরো স্বচ্ছ এবং সঠিকভাবে রাজ্য সরকার চালিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের পরিচালিত আরও একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল- “লক্ষীর ভান্ডার”, যেখানে প্রতি মাসে নারীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এই প্রকল্পেও আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অর্থ সঠিকভাবে বন্টন করার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারে আধার সংযুক্তিকরণে এখনো ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কোন অভিযোগ ওঠেনি। ঠিক এই প্রকল্পের মত “তরুনের স্বপ্ন” প্রকল্পেও আধার সংযুক্তিকরণ দুর্নীতি রুখতে সহায়ক হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
কিভাবে চালু হবে আধার সংযুক্তিকরণ?
বর্তমানে তরুনের স্বপ্ন প্রকল্পে শিক্ষার্থীদের নাম বাংলা শিক্ষা পোর্টাল এবং তরুণের স্বপ্ন পোর্টালে নিবন্ধন করাতে হয়। তবে এখনো এই পোর্টালগুলিতে আধার নম্বর সংযুক্ত করার কোন নিয়ম বর্তমানে চালু নেই।
যদিও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের আধার নম্বর সংরক্ষণ করা হয় স্কুলের তরফ থেকে। তবে এই ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর করা তুলতে আগামী বছর থেকে এই প্রকল্পের অধীনে নতুন আধার সংযুক্তিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া
স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষার্থীরা রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছে। কারণ এই উদ্যোগ প্রকল্পটির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং অনিয়ম রোধে সহায়ক হবে। এর ফলে কোন ছাত্রছাত্রীর টাকা ভুল অ্যাকাউন্টে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য এবং এই প্রকল্পের সঠিক বন্টন নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।